মালদা, 1 মার্চ: লোকসভা নির্বাচনে রফা হতে পারে কংগ্রেস-তৃণমূলের ! লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলার রাজনৈতিক মহলে ভাসছে একথা ৷ একি শুধুই জল্পনা ? নাকি যা রটে, তার কিছু বটে ৷ তবে উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে কংগ্রেস শিবিরে যেভাবে দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, তাতে সবাই বলছে, এমনটা হতেও পারে ৷ রাজনীতিতে কোনও কিছুই আশ্চর্য নয় ৷ যদিও এনিয়ে এখনই সেভাবে মুখ খুলছে না জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷
2009 সালে আসন পুনর্বিন্যাসের পর গঠিত হয় উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্র ৷ গঠনের পর থেকে ওই কেন্দ্রটি কংগ্রেসেরই দখলে ছিল ৷ তাল কাটে ঊনিশের নির্বাচনে ৷ ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মৌসম নুর ৷ সেবারের ভোটে ওই কেন্দ্রে মৌসমের সঙ্গে ভাই ইশা খানের লড়াই দেখেছিল গোটা দেশ ৷ ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল ইশাকে ৷ ভাই-বোনের লড়াইয়ে বাজিমাত করে পদ্ম শিবির ৷ কাটাকাটির খেলায় জিতে যান বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু ৷
এই লোকসভা আসনে ভোটারের সংখ্যা 18 লাখের সামান্য বেশি৷ ঊনিশের ভোটে সেই সংখ্যা ছিল 17 লাখের আশেপাশে ৷ সেবারের ভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মোট ভোট ছিল সাত লাখ 30 হাজার 506 ৷ যেখানে বিজেপি পেয়েছিল 5 লাখ ন’হাজার 524 ভোট ৷ এই আসনে থাকা সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে বিজেপি বেশি ভোট পেয়ে কেল্লাফতে করে ৷ সামনে চলে আসে জাতপাতের জটিল অংকও ৷ দেখা যাচ্ছে, উত্তর মালদা কেন্দ্রে মোট ভোটারের প্রায় 52 শতাংশ হিন্দু এবং প্রায় 46 শতাংশ মুসলিম ৷ বাকি ভোটাররা বিভিন্ন ধর্মের ৷ সেই অংকে মালদা, হবিবপুর ও গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি বেশি মার্জিনে এগিয়ে যায় ৷ বাকি চারটি কেন্দ্রে তারা পিছিয়েই ছিল ৷
এবার অবশ্য ঊনিশের অংক মেলার সম্ভাবনা কম ৷ কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে ইশা খান চৌধুরীর নাম ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে জানাচ্ছে দলেরই একাংশ ৷ তাই এবার প্রার্থী হওয়ার দৌড় শুরু উত্তর মালদা কেন্দ্রে ৷ ইতিমধ্যে সামনে এসেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের দু’বারের বিধায়ক মোস্তাক আলম, মালদা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার, মালতিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক আলবেরুণি জুলকারনাইন, মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম, রাজ্য নেতা আবদুস সাত্তার, এমনকি রায়গঞ্জ কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সির নামও ৷ দীপা নাকি এবার রায়গঞ্জের পরিবর্তে উত্তর মালদা আসনে প্রার্থী হতে চাইছেন ৷ এআইসিসিকে সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন ৷ তবে শেষ পর্যন্ত কার কপালে শিকে ছিঁড়বে, তা এআইসিসিই জানে ৷