মুম্বই, 20 নভেম্বর: কড়া নিড়াপত্তায় শুরু হল মহারাষ্ট্রের 288টি আসনে বিধানসভা নির্বাচন ৷ বুধবার সকাল 7টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটদান প্রক্রিয়া ৷ চলবে সন্ধ্যা 6টা পর্যন্ত ৷ ভোটের ফলাফল জানা যাবে 23 নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার ৷ দুপুর 1টা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ভোট পড়ে 32.18 শতাংশ ৷ পরের দু'ঘণ্টায় ভোটদানের হার সামান্য বাড়ে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, দুপুর তিনটে পর্যন্ত 45.53 শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়ে 56.82 শতাংশ। একদিকে বিরোধীদের মহাবিকাশ আঘাড়ী জোট ৷ অন্যদিকে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট ৷ ভোটের ফলে বাজিমাত করতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে যুযুধান দুই পক্ষ ৷
মহারাষ্ট্রের ভোটে এই মুহূর্তে সকলের নজর মায়ানগরী মুম্বইয়ের দিকে, সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই ৷ বাণিজ্য নগরী ভোট নিয়ে টানটান উত্তেজনা সকলের মধ্যে ৷ মুম্বইয়ের 36টি বিধানসভা আসনেই ভোট হচ্ছে বুধবার ৷ প্রার্থী সংখ্যা 420 জন ৷ অতীতের উদাসিনতা কাটিয়ে এবার রেকর্ড সংখ্যা ভোট পড়ে কি না, সেদিকেই নজর সকলের ৷
এদিকে, ভোট শুরু হতেই সকলকে ভোটদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ প্রথম ও মহিলা ভোটদানে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন তিনি ৷
आज महाराष्ट्र विधानसभा चुनाव की सभी सीटों के लिए वोट डाले जाएंगे। राज्य के मतदाताओं से मेरा आग्रह है कि वे पूरे उत्साह के साथ इसका हिस्सा बनें और लोकतंत्र के उत्सव की रौनक बढ़ाएं। इस अवसर पर सभी युवा और महिला मतदाताओं से अपील है कि वे बढ़ चढ़कर वोट डालें।
— Narendra Modi (@narendramodi) November 20, 2024
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মুম্বইয়ের মোট ভোটার সংখ্যা 1 কোটিরও বেশি ৷ এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা হল 54 নক্ষ 67 হাজার 361 জন ৷ মহিলা ভোটার হল 47 লক্ষ 61 হাজার 265 জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার হল 1 হাজার 82 জন ৷ সেই সঙ্গে, 85 বছরের বেশি বয়সি ভোটারের সংখ্য়া 1 কোটি 46 হাজার 859 জন ৷ মঙ্গলবার বৃহনমুম্বই পুরনিগম জানিয়েছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটপ্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছ ৷ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে, প্রতিটি বুথে পানীয় জল, পরিষ্কার শৌচাগার, প্রতিক্ষালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, বৃদ্ধ ও বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের জন্য হুইল-চেয়ার, ওষুধ এবং ভলান্টিয়ারেরও ব্যবস্থা রয়েছে প্রতিটি ভোটদান কেন্দ্রে ৷
উল্লেখ্য, 2019 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও অবিভক্ত শিবসেনা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে ৷ কিন্তু নির্বাচনের পর মুখ্য়মন্ত্রীত্ব নিয়ে দুই জোটসঙ্গীর মধ্যে বিবাদের জেরে মাঝপথে এসে থেমে যায় সরকার গঠন প্রক্রিয়া ৷ এরপর শরদ পাওয়ারের এনসিপি ছেড়ে অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সমর্থন করায় মুখ্য়মন্ত্রী হন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ৷ উপমুখ্যমন্ত্রী হন তিনি ৷ পরে অবশ্য সেই সরকারও টিকে থাকতে পারেনি ৷ রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ইস্তফা দিতে হয় দু'জনকেই ৷ সরকার গঠন করে মহাবিকাশ আঘাড়ী ৷
এরপর 2022 সালের জুন মাসে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনায় ভাঙন ধরায় মহাবিকাশ আঘাড়ী সরকারের পতন হয় ৷ বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ ৷ উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের কাছে হেরে যায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট ৷ এবার দেখার বিধানসভা নির্বাচনে কার দিকে পাল্লা ভারী থাকে ৷