বর্ধমান, 13 মে:ভোটের দুই যুযুধান প্রার্থী ৷ নির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। মাস খানেক জোর বাগযুদ্ধের শেষে এবার সন্ধি ! ফাইনাল রাউন্ড অর্থাৎ ভোটদানের দিনে মুখোমুখি হতেই সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের দুই প্রার্থী কীর্তি আজাদ এবং দিলীপ ঘোষকে। জড়িয়ে ধরলেন একে অপরের হাত ৷ বেশ কিছুক্ষণ ধরে উষ্ণ করমর্দনও করলেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ৷
ভোটের প্রার্থী ঘোষণা হতেই একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদগার করতে দেখা গিয়েছিল দু'জনকে ৷ দিলীপ ঘোষকে কখনও 'মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন' বলে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে কীর্তি আজাদকে, তো পালটা তৃণমূল প্রার্থীকে 'মহিষাসুর' বলে আক্রমণ করেছেন দিলীপ ৷ লাঠ্যৌষধি বা খেলা হবে-র মতো 'দাওয়াই' দিতেও শোনা গিয়েছে দুই প্রার্থীকে ৷ এসবই এখন অতীত ৷ চতুর্থ দফার ভোটের দিন সৌজন্যের নজির গড়লেন দুই প্রার্থী ৷ কীর্তিকে 'বিশেষ' পরামর্শ দিতেও দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে ৷
এদিন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের কুসুমগ্রাম বাজারে দেখা হয় দুই প্রার্থীর ৷ দু'জনেই একে অপরের দিকে হাসি মুখে হাত জোর করে এগিয়ে আসেন ৷ কীর্তি আজাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জড়িয়েও ধরতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে। কুশল সংবাদ নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে বিশেষ পরামর্শ বিজেপি প্রার্থীর। এর আগে এদিন ক্রিকেট খেলতে দেখা গিয়েছে কীর্তিকে ৷ একদিকে বার বার যখন বিক্ষোভ, অবরোধের মুখে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ, ঠিক তার অপরদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বর্ধমানের মির্জাপুরের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পাশেই ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে ৷ ওই এলাকায় কচিকাঁচারা ক্রিকেট খেলছিল ৷ তা দেখে লোভ সামলাতে না পারলেন না 1983-র বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ ৷ নেমে পড়লেন মাঠে। ভোটের দিনেও টেনশনমুক্ত কীর্তি আজাদ ছক্কা-চার মারলেন। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়ে দিলেন, "আমি তো খেলোয়াড়। খেলা দেখে তাই থাকতে পারলাম না। মাঠে নেমে পড়লাম।"