হায়দরাবাদ, 12 এপ্রিল: ভারত মহাসাগরে বিশ্বের সুপার-পাওয়ারগুলির মধ্যে বাড়তে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই অঞ্চলের কূটনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলছে ৷ এখনও পর্যন্ত ভারত মহাসাগরের অপেক্ষাকৃত শান্ত এবং অপরিলক্ষ্যিত বিস্তীর্ণ অঞ্চল আধিপত্যের প্রতিযোগিতার সাক্ষী থাকতে চলেছে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন একে অপরের বিরুদ্ধে কৌশলগত প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ এর প্রধান কারণ, এই অঞ্চলে কেবল নৌবাহিনী শক্তির দিক থেকে নয়, বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল, মৎস্যজীবী ও সমুদ্রপৃষ্ঠের নীচে খনিজ সম্পদের দখল নেওয়া ৷
ক্ষুদ্র উপকূলীয় দেশ জিবুতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান ও চিনের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ঘাঁটি রয়েছে দিয়াগো গার্সিয়াতে ৷ এটি চাগোস দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ ৷ যা নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন এবং মরিশাসের মধ্যে মতোবিরোধ রয়েছে ৷ অন্যদিকে, জিবুতিতে চিনের অপারেশনাল ঘাঁটি রয়েছে এবং গ্রেট কোকো দ্বীপে (বঙ্গোপসাগরের নিকোবর দ্বীপ থেকে মাত্র 60 কিলোমিটার দক্ষিণে) একটি এবং বালুচিস্তানের উপকূলীয় শহর গোয়াদরে আরেকটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে ৷ যেটি 1950-এর দশকে ওমান ভারতকে সেখানে ঘাঁটি গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ কিন্তু, পরবর্তীতে ভারত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৷ যার ফলে পাকিস্তান সেই দ্বীপটি কিনে নেয় ৷
এছাড়া, চিনকে ঋণের একাংশ পরিশোধের পরিবর্তে হাম্বানটোটা বন্দর দীর্ঘমেয়াদি লিজে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ৷ যা ড্রাগন কান্ট্রি সামরিক কাজে ব্যবহার করবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ একইভাবে চিন মলদ্বীপকে তাদের কয়েকটি দ্বীপ চিনা নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিয়ে যাচ্ছে ৷ উল্লেখ্য, ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের একটা বৃহত্তর অংশ ভারতের হাতে রয়েছে (7,600 কিলোমিটার) ৷ স্বাভাবিকভাবেই ভারত মহাসাগর অঞ্চলে উদ্ধার ও ত্রাণের পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য ভারতের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব রয়েছে ৷