বেলদা, 7 অক্টোবর: বিনা ছাঁচে কেবল হাতের সাহায্যে দুর্গা বানিয়ে তাক লাগাল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অর্পণ দাস রায় ৷ তিন ফুটের দুর্গামূর্তির সঙ্গে রয়েছে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী । বাড়িতে নিজেই চারদিন ধরে এই দুগ্গা ঠাকুরের পুজো করবে খুদে অর্পণ । ছেলের এই কৃতিত্বে খুশি বাবা-মা ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা স্বপন দাস রায় । তাঁর ছেলে অর্পণ দাস রায় ৷ পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অর্পণ বেলদার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র । পড়াশোনার অবসরে চলে মূর্তি তৈরির কাজ ৷ ছিপছিপের চেহারার অর্পণ সারাদিন স্কুল, টিউশন, গান নিয়ে ব্যস্ততায় থাকে ৷ তবে তার নেশা বিভিন্ন ধরনের পুতুল তৈরি করা । সারা বছর চলতে থাকা বিভিন্ন পুজোর সময়ে সে বানিয়ে ফেলে ভিন্ন ভিন্ন মূর্তি । এরপর সেগুলো নিজেই পুজো করে ৷
ঠাকুর তৈরি থেকে পুজো, সব একা হাতে করে খুদে শিল্পী অর্পণ (ইটিভি ভারত)
এবারে দুর্গাপুজো উপলক্ষে পড়াশুনো ও অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বাড়িতেই তৈরি করছে প্রতিমা ৷ বাড়িতে দুর্গাপুজোর আয়োজনের জন্য নিজেই প্রতিমা বানিয়ে পুজোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্পণ ৷ তাকে শুধুমাত্র উপকরণ কিনে দিয়ে সহযোগিতা করেছে পরিবারের লোকজন ৷ বাকি নিজের হাতে বিনা ছাঁচে তৈরি করছে দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তি ৷ এছাড়াও নিজের হাতে তৈরি করেছে আমন্ত্রণপত্র ৷ নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট পঞ্জিকা দেখে চারদিন আড়ম্বর সহকারে নিজে পুজো করবে অর্পণ । বাবা-মা গর্বিত হওয়ার পাশাপাশি তার সৃষ্টিশীলতায় মুগ্ধ এলাকার মানুষ ৷
ঠাকুর তৈরির মুহূর্তে খুদে শিল্পী অর্পণ (ইটিভি ভারত)
এই বিষয়ে অর্পণের বক্তব্য, "ছোট থেকেই আমার ইচ্ছে বিভিন্ন মূর্তি গড়ার ৷ পড়ার অবসর টাইমে এসব কাজ করি ৷ আমার খুব ভালো লাগে ।এবারের তিন ফুটের একটা দুর্গা তৈরি করেছি ৷ পুজোর ক'টা দিন আমরা এটা পুজো করব ।"
অর্পণের মা পারমিতা দাস রায়ের কথায়, "ছেলে ছোট থেকেই ঠাকুর ভক্ত ৷ ওর একটা ছোট কৃষ্ণ ঠাকুর রয়েছে ৷ সেই গোপুকে নিয়েই ও সব জায়গা যায় । অবসর সময়ে ও হাতের কাজ করতে ভালোবাসে ৷ বিভিন্ন ঠাকুরের মূর্তি গড়ে ৷ এইসব কাজ ইউটিউব দেখে শিখেছে ৷ কিছুটা সাহায্য করে ওর বাবা । ও বড় হয়ে যা হতে চাই, আমরা সেরকমভাবে ওকে সাহায্য করব ।"