ওয়াশিংটন, 20 এপ্রিল: গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত সাধারণ নাগরিকদের কাছে খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা পৌঁছে দেবে ইউএন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থাকে সমুদ্রপথে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজি করানো গিয়েছে ৷ মার্কিন সামরিক বাহিনী সমুদ্রপথে সাফল্যের সঙ্গে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার পর, ইউএন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম সংস্থা খাবার পৌঁছে দিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে সেদেশের আধিকারিক ৷
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থার খাবার-সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবা পৌঁছে দিলে, গাজায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে যে সমস্যা হচ্ছে, তার সুরাহা হবে ৷ উল্লেখ্য, ইজরায়েলের সেনাবাহিনী গত 1 এপ্রিল গাজায় হামলা চালিয়েছিল ৷ যে হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাত জন স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছিল ৷ এই ঘটনায় ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল বিশ্বের তাবড় দেশগুলি ৷ মানবিক সাহায্য প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কর্মীদের গাজায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ইজরায়েলের সমালোচনা শুরু হয় ৷
এমনকি হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় ৷ বাধ্য হয়ে ওয়াশিংটন গত 8 মার্চ ঘোষণা করে যে, মার্কিন সামরিক বাহিনী স্থলপথের বিকল্প হিসেবে সমুদ্রপথে মানবিক সাহায্য প্রদানের জন্য অস্থায়ী করিডর তৈরি করবে ৷ মার্কিন সামরিক বাহিনী সেই সুরক্ষিত করিডর তৈরি করার পর, রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম সেখান দিয়ে খাদ্য সামগ্রী-সহ মানবিক সাহায্য গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য পৌঁছে দেবে ৷
উল্লেখ্য, এই সেফ করিডর তৈরি করা ও সেখান দিয়ে সাহায্য গাজায় পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া যথেষ্ঠ জটিল ৷ এই পথে থাকা একাধিক দেশের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন ও আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে ৷ যাতে সাহায্য নিয়ে যাওয়ার সময় কোনও দেশের সমুদ্রসীমা রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের জাহাজ ও কর্মীদের আটকানো না হয় ৷ পাশাপাশি, জলদস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে সেফ করিডরের মধ্যে থাকা দেশগুলি থেকে সামরিক সুরক্ষ পাওয়া যায় ৷
আরও পড়ুন:
- সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স ইউনিটে রকেট হামলা, ইজরায়েলের প্রত্যাঘাতে কাঁপছে ইরান
- ইরানকে যোগ্য জবাব দেওয়ার অপেক্ষায় ইজরায়েলের ওয়ার ক্য়াবিনেট
- আর যুদ্ধ সহ্য করা অসম্ভব, মত রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের