কলকাতা, 25 ডিসেম্বর: সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে আরজি কর-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারপরেই মঙ্গলবার দেখা গিয়েছে একটি ভিডিও ৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরে আরজি কর হাসপাতালের 8 তলায় অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্টের সার্জারি ঘর বন্ধ রয়েছে ৷ এবার এই ইস্যুকে সামনে রেখে সিবিআই-কে একাধিক প্রশ্ন জুনিয়ার চিকিৎসকদের ৷
কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি অর্থাৎ সিএফএসএল-এর রিপোর্টকে সামনে রেখেই ছ'টি প্রশ্ন তুললেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ পাশাপাশি আরজি কর-কাণ্ডে চার্জশিট নিয়ে প্রশ্ন করতে পিছপা হলে না তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র চিকিৎসকরা কৌতূহল প্রকাশ করেন ঘটনার দিন রাতে সঞ্জয় রায়ের অবস্থান নিয়ে ৷ একইসঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন কেন 8 তলার অর্থোপেডিক ঘর বন্ধ ?
আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সোমবার সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক রিপোর্ট ৷ যেখানে বলা হয়েছে সেমিনার হলে নির্যাতিতার প্রতিরোধের কোনও প্রমাণ মেলেনি ৷ বায়োলজিকাল স্টেন শুধুমাত্র পাওয়া গিয়েছে সেমিনার ঘরের ভিতরে কাঠের তৈরি পাটাতনের উপরের কার্পেট থেকে । চাঞ্চলকর এই তথ্য সামনে আসার পরই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷
সিএসএফএল-এর রিপোর্ট পাওয়ার পরেও সিবিআই-এর প্রাথমিক চার্জশিটে তার কোন প্রতিফলন দেখা গেল না কেন ? এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা নিয়ে কোনও গ্রেফতার বা পদক্ষেপ নিল না কেন সিবিআই ? এই ঘরের দেয়াল ভেঙে ফেলার কারণ কি ? তদন্ত প্রক্রিয়া যখন চলছে কোনও বিশেষ তথ্যপ্রমাণ তাড়াহুড়ো করে লোপাট করাই কি লক্ষ্য ছিল কর্তৃপক্ষের ? যেখানে এই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লিখিত আছে, একটি ভেঙে দেওয়া দেওয়ালের অংশে সচল বিদ্যুতের তারের সংযোগ ছিল। কীসের এই ব্যস্ততা ? এছাড়াও সিবিআই-এর কাছে তাঁদের প্রশ্ন, সিবিআই কীসের ভিত্তিতে তদন্ত করেছে ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ?
এর সঙ্গে রয়েছে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেগুলি হল, সেমিনার হলের মত গুরুত্বপূর্ণ ঘরের দরজা CFSL যখন পৌঁছয়, তখন শুধুমাত্র কিছুটা কাপড় আর তালা দিয়ে বন্ধ করা ছিল ৷ তাহলে রাজ্য পুলিশ হয় ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাস্থলকে রক্ষা করাতে চায়নি অথবা চরম গাফিলতির পরিচয় রেখেছে ? সেমিনার ঘরে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি, তাহলে প্রশ্ন উঠছে ঘটনাস্থল কি আদৌ সেমিনার রুম ? আর তার কোন বিশদ উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে নেই কেন ?
সিএফএসএল-এর রিপোর্টের শেষ পয়েন্ট অনুযায়ী, সরকারি সিকিউরিটি কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের কাজের জায়গা পেরিয়ে কোন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পক্ষে লুকিয়ে সেমিনার রুমে ঢুকে এই ধরনের ঘৃণ্য নৃশংস অপরাধ করার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। তাহলে অপরাধের ঘটনাস্থল কি তাহলে আলাদা ? আর যদি আলাদা হয়, তাহলে কোথা থেকে, কীভাবে ও কখন এতগুলো চোখ এড়িয়ে দেহ স্থানান্তর করা হল ? প্রশ্ন এও ওঠে কোন বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে সেখানে সব কর্মচারীদের 8 অগস্ট রাতে উধাও করা হয়নি তো ?