ঢাকা, 19 জুলাই: চাকরিতে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ ৷ তারমধ্যেই প্রস্তাব এসেছিল, আলোচনায় প্রস্তুত সরকার ৷ বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি সরকার ৷ সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দিলেন আন্দোলনকারীরা ৷ সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘‘লাশ মাড়িয়ে আলোচনা নয় ৷’’
গতকাল আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবাদ সম্মেলনের পরেই আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা সরকারের সঙ্গে সংলাপ চান না ৷ বরং সরাসরি সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা । আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখ সার্জিস আলম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘একদিকে গুলি আর লাশ, অন্যদিকে সংলাপ ! আমার ভাইয়ের রক্তের উপর দিয়ে কীভাবে সংলাপ হতে পারে ?’’ আন্দোলনের আরেক সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল্লা লিখেছেন, ‘‘রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয় ৷’’
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্র-ছাত্রীদের উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাও হামলা চালিয়েছে ৷ নিহতের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রনেতা আবু সইদ ৷ পুলিশের সামনে তাঁর দু’হাত মেলে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ৷ যেভাবে সংস্কারের দাবি চাওয়া ছাত্রকে গুলি করে মেরেছে বাংলাদেশের পুলিশ, তার নিন্দা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে ৷ তারপরেই আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিলেন, যেই সরকার ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছে, তাদের সঙ্গে কোনও সমঝোতা নয় ৷
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যহত বাংলাদেশে ৷ ইতিমধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য় বন্ধ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৷ আন্দোলনকারী ছাত্রদের দেশব্যাপী ধর্মঘটে আরও খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি ৷ সংবাদসংস্থা পিটিআই’য়ের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরও 18 জন ৷ সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা 25 ছুঁয়েছে ৷ সংবাদসংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, মৃতের সংখ্যা 32 ৷ যদিও একাধিক বেসরকারি হিসেব বলছে, ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা 68 ছাড়িয়েছে ৷