ইসালামাবাদ, 17 জানুয়ারি: দুর্নীতি মামলায় বিপাকে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ৷ শুক্রবার পিটিআই নেতাকে 14 বছরের জেলের সাজা শোনাল পাকিস্তানের আদালত ৷ একই মামলায় তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকেও 7 বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত ৷ আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁদের সাজা শোনালেন দুর্নীতি দমন আদালতের বিচারক নাসির জাভেদ রানা ৷
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরার ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ট্রাস্টের কোষাগার থেকে পাকিস্তানি মুদ্রায় 500 কোটি (190 মিলিয়ন পাউন্ড) টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী ৷ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পাকিস্তানের তদন্তকারী সংস্থা ন্যাশনাল অ্য়াকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (NAB) ৷ তদন্তে লন্ডনের এক ব্যবসায়ির নাম উঠে আসে ৷
অভিযোগ ওঠে, সেই ব্যবসায়ির সঙ্গে সম্পত্তি কেনাবেচায় টাকাটা লেনদেন করেন ইমরান খান ৷ পরে ব্রিটেনের জাতীয় অপরাধ দমন এজেন্সি টাকাটা ফের পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেয় ৷ অন্যদিকে, 2023 সালের ডিসেম্বর মাসে ইমরান খান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি এবং আরও 6 জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ন্যাব ৷ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয় ৷
এরপর আদালত চত্বর থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করা হয় ৷ যদিও সেই গ্রেফতারিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ৷ এরপর পিটিআই সুপ্রিমোর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে লহোর হাইকোর্ট ৷ কিন্তু, অন্যান্য় মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় জেল থেকে মুক্তি পাননি তিনি ৷
শুক্রবার মামলায় বাকি অভিযুক্তরা অনুপস্থিত থাকায় শুধু ইমরান ও বুশরার বিরুদ্ধেই রায় শোনায় ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত ৷ আদিলা জেলে অস্থায়ী আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক নাসির জাভেদ রানা ৷