লন্ডন, 15 জানুয়ারি: ব্রিটেনের মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন বাংলাদেশের অপসারিত প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনার বোনঝি টিউলিপ সিদ্দিক ৷ তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তদন্তও চলছে ৷ যদিও কোনও অভিযোগ প্রমাণিত নয় বলে দাবি লন্ডনের দুর্নীতি দমন মন্ত্রীর ৷ তবে সরকারের অস্বস্তি কাটাতে এই সিদ্ধান্ত বলে খোদ জানিয়েছেন টিউলিপ ৷
ইস্তফার খবর জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে টিউলিপ লিখেছেন, "একটি নিরপেক্ষ তদন্তে আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত নয় ৷ বিধি লঙ্ঘন কিংবা দুর্নীতির সঙ্গে আমার যোগের কোনও প্রমাণ নেই ৷ তবে সরকারের বিভ্রান্তি কাটাতে আমি মন্ত্রিত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি ৷"
An independent review has confirmed that I have not breached the Ministerial Code and there is no evidence to suggest I have acted improperly.
— Tulip Siddiq (@TulipSiddiq) January 14, 2025
Nonetheless, to avoid distraction for the Government, I have resigned as City Minister.
Here is my full letter to the Prime Minister. pic.twitter.com/kZeWZfEsei
এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করা চিঠিতে তিনি লেখেন, "আমার পারিবারিক পরিচয় কারও অজানা নয় ৷ মন্ত্রী হওয়ার সময় এই বিষয়ে দেশের সরকারের কাছে হলফনামাও জমা দেওয়া হয়েছে ৷ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মাসি, সেটাও আমি জানিয়েছি ৷ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি থেকে আমাকে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ৷ স্বচ্ছতার সঙ্গে আমি সেই পরামর্শ মেনে চলেছি ৷"
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে 'হাউস অফ কমন্স'এর নির্বাচনে 4 বার জয়ী হন লেবার পার্টির নেত্রী টিউলিপ সিদ্দিক ৷ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের মন্ত্রিসভায় তাঁকে দুর্নীতি দমন মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷ সম্প্রতি, তাঁর বিরুদ্ধে নীতি বহির্ভূত সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ দাবি করা হয়, লন্ডনে থাকা এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ির কাছ থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্য়াট নিয়েছেন তিনি ৷ ঘটনার তদন্তও শুরু হয় ৷ যদিও তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন টিউলিপ ৷
প্রসঙ্গত, গত 5 অগস্ট গণঅভ্যুথানের জেরে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে ৷ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন মুজিব কন্যা ৷ এই আবহে গত 8 অগস্ট সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন মহম্মদ ইউনুস ৷ বর্তমানে ভারতে রয়েছেন শেখ হাসিনা ৷