লন্ডন, 3 জুলাই: আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে ভোট ৷ গত কয়েক সপ্তাহে সেই ভোটের প্রচারে কয়েক হাজার মাইল পার করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক ৷ তার পরও তিনি ভোটের প্রচারের শেষ মুহূর্তে স্বস্তিতে নেই ৷ গত 20 মাস তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ৷ কিন্তু তিনি থাকবেন কি না, সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে ৷ 2005 সালের পর থেকে সুনক-সহ পাঁচজন কনজারভেটিভ নেতা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ৷ সেই ধারায় পূর্ণচ্ছেদ বসিয়ে ব্রিটেনের বাসিন্দারা কি আবার লেবার পার্টির উপর ভরসা রাখবেন ? পূর্বাভাস অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে ৷
তাই গত কয়েক সপ্তাহে প্রচারে কোনও ত্রুটি রাখেননি সুনক ৷ খাদ্যবণ্টন গুদাম, সুপারমার্কেট-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করেছেন ৷ তিনি ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার আগে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চান না ৷ তাছাড়া 2022 সালের অক্টোবরে যখন প্রধানমন্ত্রীর পদে সুনক বসেন, তখন যা অবস্থা ছিল, তার থেকে এখন তাঁদের অবস্থা অনেকটাই ভালো ৷ তাই ভোটাররা যাতে লেবার পার্টিকে ভোট না দেন, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছেন সুনক ৷
অন্যদিকে লেবার পার্টির তরফেও নিজেদের সমর্থকদের আত্মতুষ্টিতে না থাকার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ কারণ, বিভিন্ন পূর্বাভাসে লেবার পার্টিরই ক্ষমতায় আসার কথা বলা হয়েছে ৷ সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করতে গত ছ’সপ্তাহ ধরে প্রচার করছেন লেবার পার্টির নেতা কাইর স্টারমার ৷ তবে অর্থনীতির হাল ফেরানো, পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ-সহ একাধিক বিষয়ে এখনও সুস্পষ্ট কোনও রূপরেখা দিতে পারেনি স্টারমাররা ৷ তার পরও ব্যবসায়িক মহল-সহ অনেকের সমর্থন তাদের দিকেই রয়েছে ৷ তার কারণ হিসেবে উঠে আসছে যে ব্রিটেনবাসী নতুন ভাবনা চাইছে, যা একমাত্র লেবার পার্টির কাছেই আছে ৷