কিভ, 23 অগস্ট: ভারত সক্রিয়ভাবে শান্তি প্রচেষ্টার জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা করেছে ৷ ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷
শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই আলোচনা হয়েছে বলে খবর। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির আলোচনাকে বিশ্লেষকরা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মঞ্চে ভারতের কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেই দেখতে চাইছেন। আর বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "অন্যান্য দেশের মানুষও জানে, ভারত সক্রিয়ভাবে শান্তি প্রচেষ্টার পরিকল্পনা করেছে ৷ আপনারাও জানেন যে, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি জনকেন্দ্রীক। আমি আপনাদের এবং সমগ্র বিশ্বকে আশ্বস্ত করতে চাই, ভারতের প্রতিশ্রুতি এবং আমরা বিশ্বাস করি যে সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷"
এখানেই শেষ নয়, মোদি আরও বলেন, "আমি এই বিষয়ের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গেও দেখা করেছি ৷ তখন আমি তাঁকে বলেছিলাম যে, এটি যুদ্ধের সময় নয় ৷ আমি একটি বৈঠকের জন্য রাশিয়া গিয়েছিলাম, আমি সেখানেও স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলাম, যে কোনও সমস্যার সমাধান যুদ্ধের ময়দানে পাওয়া যায় না ৷ শুধুমাত্র আলোচনা, কথাবার্তা এবং কূটনীতির মাধ্যমে আমাদের সময় নষ্ট না করে সেদিকে অগ্রসর হওয়া উচিত। উভয় পক্ষকে একসঙ্গে বসে এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করা উচিত ৷ আমি আপনাদের সঙ্গে শান্তি ও অগ্রগতির পথ নিয়ে আলোচনা করতে চাই ৷ ভারত প্রতিটি ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত শান্তির জন্য। আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে এতে অবদান রাখতে পারি, আমি সেটা করতে চাই। একজন বন্ধু হিসাবে, আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি ৷"
প্রধানমন্ত্রী মোদির বর্তমান সফরে ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে চারটি যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ৷ 1991 সালে ইউক্রেন স্বাধীনতা অর্জনের পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রথম সফর। অন্যদিকে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি কমিশনকে বিশেষভাবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিকে মনোনিবেশ করার দায়িত্ব দিয়েছেন। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইউক্রেনের যুদ্ধ। উভয় নেতাই আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলিকে উন্নত করার জন্য প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন ৷