ওয়াশিংটন, 4 ফেব্রুয়ারি: মেক্সিকোর পর এবার কানাডা, দুই দেশের উপর আরোপিত শুল্ক আপাতত 30 দিনের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উভয় দেশ সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সম্মত হওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানা গিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন, যার পরে ট্রাম্প শুল্ক স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছেন। মঙ্গলবার থেকেই কানাডার পণ্যের উপর 25 শতাংশ শুল্ক বসানোর কথা ছিল আমেরিকার।
এর আগে, সোমবারের শুরুতে মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম জানান যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর মেক্সিকোর উপর শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এর পর হোয়াইট হাউস এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে। তবে, চিন থেকে আমদানির উপর আরোপিত শুল্ক আপাতত বহাল থাকবে। গত শনিবার মেক্সিকো, কানাডা এবং চিনা পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। চিনা পণ্যে 10 শতাংশ শুল্ক এবং বাকি দুই দেশের পণ্যে 25 শতাংশ শুল্কের ঘোষণা করেন তিনি। মঙ্গলবার থেকেই এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই মেক্সিকো এবং কানাডার পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করলেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে সতর্ক করে দিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, যদি কানাডা ফেন্টানাইল চোরাচালান এবং অবৈধ অভিবাসীদের সীমান্ত অতিক্রম করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমেরিকা তার উপর চড়া শুল্ক আরোপ করবে। শুল্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট শাইনবাউম সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ফেন্টানাইলের মতো মাদকের চোরাচালান বন্ধ করতে মেক্সিকো সীমান্তে 10,000 ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে।
কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের উপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য আমেরিকায় পণ্য রফতানির বড় সুযোগ তৈরি করবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ। রফতানিকারকদের মত, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত চিন, কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় রফতানির উপর প্রভাব ফেলবে ৷ কারণ, আমেরিকার বাজারে তাদের পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং ভারতের জন্য বাজার প্রতিযোগিতার চাপ কিছুটা কমবে।