পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / health

শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি কীভাবে বুঝবেন ? থাকলে কী খাবেন জানালেন ডায়েটিশিয়ান - FOODS HIGH IN ZINC

জিঙ্কের অভাব ধীরে ধীরে শরীরকে দুর্বল করে তোলে । এর ঘাটতি মেটাতে কী কী খাবেন জানালেন, ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রী বণিক ৷

Health
জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে কী খাবেন (Freepik)

By ETV Bharat Health Team

Published : Feb 6, 2025, 11:59 AM IST

জিঙ্ক আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ ৷ যা অনেক শারীরিক ক্রিয়াকলাপ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে । এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালীকরণ, ক্ষত নিরাময়, ডিএনএ সংশ্লেষণ এবং কোষ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

এছাড়াও জিঙ্ক স্বাদ এবং গন্ধের অনুভূতি বজায় রাখতেও সহায়ক ৷ কিন্তু যখন শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি দেখা দেয়, তখন এটি ধীরে ধীরে শরীরকে দুর্বল করতে শুরু করে ৷ যা অনেক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার কারণ হতে পারে । জিঙ্কের ঘাটতির লক্ষণ, শরীরের উপর এর প্রভাব পড়ে ৷ কিছু খাবার খেয়ে আপনি জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে পারেন ৷

জিঙ্কের অভাবের লক্ষণ:

ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রী বণিক বলেন, "জিঙ্কের অভাব শরীরকে নানাভাবে প্রভাবিত করে । এর অভাবের কারণে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ যার কারণে একজন ব্যক্তি বারবার অসুস্থ হতে শুরু করেন । ক্ষত নিরাময়ে দেরি হওয়া, চুল পড়া, ত্বকের সমস্যা, স্বাদ ও গন্ধ হ্রাস এবং বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার মতো সমস্যাগুলিও জিঙ্কের অভাবের কারণে হতে পারে ।"

এছাড়াও তিনি জানান, শিশুদের মধ্যে জিঙ্কের ঘাটতি তাদের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে ৷ অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটি ক্লান্তি, মানসিক এবং যৌন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে । জিঙ্কের ঘাটতির সবচেয়ে বড় বিপদ হল এটি ধীরে ধীরে শরীরকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয় । এর অভাবের লক্ষণগুলি তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায় না ৷ তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি শরীরকে দুর্বল করে তোলে । অতএব, জিঙ্কের ঘাটতি উপেক্ষা করা বিপজ্জনক হতে পারে ।

এই খাবারগুলি জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করবে:

জয়শ্রী বলেন, "জিঙ্কের ঘাটতি পূরণের সর্বোত্তম উপায় হল আপনার খাদ্যতালিকায় জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা ।" জেনে নিন, কী কী খেতে পারেন ?

মাংস:মাংস জিঙ্কের একটি ভালো উৎস । রেড মিট (যেমন- গরুর মাংস এবং ভেড়ার মাংস) জিঙ্ক বেশি থাকে । চিকেন এবং টার্কিও জিঙ্কের ভালো উৎস । এই খাবারগুলি তালিকায় রেখে শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি মটাতে পারবেন ৷

সামুদ্রিক খাবার:সামুদ্রিক খাবার, বিশেষ করে শেলফিশ, জিঙ্কের একটি দুর্দান্ত উৎস । ঝিনুকের মধ্যে জিঙ্কের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি । এছাড়াও, কাঁকড়া, চিংড়ি এবং মাছও জিঙ্কের ভালো উৎস । সামুদ্রিক খাবার কেবল জিঙ্ক সমৃদ্ধ নয়, ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিনও রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ।

ডাল এবং বীজ: ডাল এবং বীজও জিঙ্কের একটি চমৎকার উৎস । কুমড়োর বীজ, তিল বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে । এছাড়াও, ছোলা, মুসুর ডাল এবং কিডনি বিনের মতো ডালগুলিতেও প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে । এই বিকল্পগুলি আমিষভোজীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী ।

দুগ্ধজাত পণ্য:দুধ, পনির এবং দইয়ের মতো দুগ্ধজাত পণ্যেও জিঙ্ক পাওয়া যায় । এই পণ্যগুলিতে কেবল জিঙ্কই নয়, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনও রয়েছে ৷ যা হাড় এবং পেশীর জন্য উপকারী । যদি আপনার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে তাহলে দুগ্ধজাত খাবারের বিকল্প হিসেবে খাদ্যতালিকায় সয়া দুধ বা বাদামজাতীয় পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ।

বাদাম এবং গোটা শস্য: কাজু, বাদাম এবং আখরোটের মতো বাদামে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে । এছাড়াও, গম, চাল এবং ওটসের মতো গোটা শস্যও জিঙ্কের ভালো উৎস । আপনার খাদ্যতালিকায় এগুলি অন্তর্ভুক্ত করে জিঙ্কের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারেন ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)

ABOUT THE AUTHOR

...view details