হায়দরাবাদ: পেশীর দুর্বলতা শুধুমাত্র হাঁটাচলা বা কাজ করতে সমস্যা সৃষ্টি করে না ৷ অনেক সময় বহু সমস্যারও কারণ হতে পারে । হার্নিয়া তার মধ্যে অন্যতম । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব না-থাকলেও অসহ্য যন্ত্রণা ও দৈনন্দিন কাজ করতে অসুবিধার কারণ হতে পারে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যাটি তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে ওষুধ ও অন্যান্য উপায়ে ব্যথা ও ফোলা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব । কিন্তু যদি সমস্যা প্রভাব বেড়ে যায়, পেশী বা টিস্যু দুর্বল হয়ে ফেটে যায় তাহলে এই পরিস্থিতিতে অস্ত্রোপচারই একমাত্র চিকিৎসা ৷
হার্নিয়া কী এবং এর লক্ষণ (What is a hernia and its symptoms):
মুম্বইয়ের চিকিৎসক ডাঃ বিশেশ আগরওয়াল বলেন, ‘‘হার্নিয়া বেশিরভাগই পেশী দুর্বলতার কারণে হয় । কিন্তু এটা যে কোনও বয়সে ঘটতে পারে । খুব ছোট বাচ্চাদের মধ্যেও এই সমস্যা হতে পারে । হার্নিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেটের আশেপাশে হয় । যেমন বুকের দিকে, অন্ত্রের চারপাশে, নাভির চারপাশে, উরুর উপরের অংশে এবং কোমরের চারপাশে হতে পারে ।’’
হার্নিয়ায় আক্রান্ত স্থানের পেশী বা টিস্যু দুর্বল হয়ে ফেটে যায় বা কখনও কখনও তাতে গর্তের সৃষ্টি হয় ৷ তিনি ব্যাখ্যা করেন, পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে হার্নিয়ার লক্ষণগুলি আলাদা হতে পারে । তবে উভয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান কিছু সাধারণ লক্ষণ নিম্নরূপ ।
যেখানে হার্নিয়া হয় সেই ত্বকে ফুসকুড়ি অনুভূত হতে পারে । প্রস্রাব করার সময় ভুক্তভোগীরা অসুবিধা বা ব্যথা অনুভব করতে পারেন । গলা ও বুকে খাবারের রিফ্লাক্স অনুভূত হতে পারে । আক্রান্ত ব্যক্তি দাঁড়ানো, বসা, হাঁটা বা দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম করার সময় আক্রান্ত স্থানে কম বা বেশি ব্যথা অনুভব করেন ।
তিনি ব্যখ্যা করেন, যদিও হার্নিয়া সাধারণত প্রাণঘাতী বা মারণ রোগের ক্যাটাগরিতে পড়ে না, কিন্তু যদি এই সমস্যাটিকে উপেক্ষা করা হয় চিকিৎসায় অসতর্কতা অবলম্বন করা হয় বা সময়মতো অস্ত্রোপচার করা না হয় তাহলে এর মারাত্মক প্রভাব হতে পারে ।