গঙ্গাসাগর, 15 জানুয়ারি: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান মানেই নাগা সন্ন্যাসীদের ভিড় ৷ কিন্তু, এ-বছর গঙ্গাসাগরে নাগা সাধুদের সংখ্যা হাতে গোনা ৷ তবে, এর পিছনে পূর্ণ মহাকুম্ভই একমাত্র কারণ বলে জানাচ্ছেন উপস্থিত সাধুসন্তরা ৷ এমনকি আগামী 17 জানুয়ারি তাঁরাও গঙ্গাসাগর থেকে মহাকুম্ভে প্রস্থান করবেন বলে জানালেন ৷
অন্যদিকে, গঙ্গাসাগরের পুণ্যস্নান ও মেলাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক অব্যবস্থার অভিযোগও করতে শোনা গেল একাংশ সাধুসন্তকে ৷ বিশেষত, ভিড় নিয়ন্ত্রণে ও সাধুদের থাকার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অব্যবস্থার অভিযোগ করেছেন তাঁরা ৷ মহন্ত নাগা বাবা যোগেশ্বর গিরি মহারাজ বলেন, "পূর্ণ মহাকুম্ভ এবার ৷ সেই কারণে নাগা সাধুরা খুব একটা গঙ্গাসাগরে আসেননি ৷ কিন্তু, এলে তাঁরা সমস্যায় পড়তেন ৷ চূড়ান্ত অব্যবস্থা ৷ কীভাবে সবাই রয়েছে দেখুন ৷ সাধুরা কেউ চলাফেরা করতে পারছেন না ৷"
তবে, অধিকাংশ সাধুদের কথায় 144 বছর পর মহাকুম্ভের যোগ তৈরি হয়েছে ৷ তাই মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের জন্য নাগা সন্ন্যাসীরা মহাকুম্ভে গিয়েছেন ৷ উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগর মেলার শুরু থেকে মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত মোট 85 লক্ষ পুণ্যার্থী স্নান সেরেছেন বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু, সেই তুলনায় নাগা সন্ন্যাসীদের উপস্থিতির হার অনেকটাই কম ৷ নাগা সন্ন্যাসীদের যে আখড়াগুলি রয়েছে, সেগুলির অধিকাংশই শূন্য ৷
মহন্ত নাগা বাবা কনকানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, "পূর্ণ মহাকুম্ভ চলছে ৷ সেই জন্য বেশিরভাগ নাগা সাধু প্রয়াগরাজে গিয়েছেন ৷ আমরাও চলে যাব 17 তারিখে ৷ গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এখানে এসেছি ৷ এবার মহাকুম্ভে যোগদান করব ৷" আরেক নাগা বাবা মঙ্গল গিরি বলেন, "144 বছর পর মহাকুম্ভের যোগ এসেছে ৷ সবাই প্রয়াগরাজে গিয়েছেন ৷"
তবে, প্রশাসন যে 85 লক্ষ পুণ্যার্থীর হিসাব দিচ্ছে, তার সঙ্গে সহমত নন গঙ্গাসাগরে আসা অধিকাংশ সাধুসন্ত এবং ব্যবসায়ীরা ৷ তাঁদের দাবি, এতটা ভিড় এবার গঙ্গাসাগরে হয়নি ৷ অন্যান্যবারের মতো পুণ্যার্থীরা এবার গঙ্গাসাগরে আসেননি বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা ৷