ভারতীয় খাবারে রায়তার নাম এলেই দইয়ের ঠান্ডা স্বাদ আর মশলার সুগন্ধ মনকে বিমোহিত করে । এটি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী । রায়তা প্রতিটি বাড়িতেই বিভিন্নভাবে তৈরি করা হয় এবং খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে । কিন্তু আপনি কি জানেন যে রায়তার সঠিক সংমিশ্রণ আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে ৷
বিভিন্ন ধরনের রায়তা ও উপকারিতা:
ডায়েটিশিয়ানরা জানান, সঠিক কম্বিনেশনে তৈরি রায়তা স্বাস্থ্যকে নানাভাবে উপকার করে । আমাদের দেশে প্রচলিত কিছু বিশেষ ধরনের রায়তা এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা নিম্নরূপ ।
শসা রায়তা: শসার রায়তা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে । এটি হজমশক্তি উন্নত করে এবং ডিটক্সে সাহায্য করে ।
কীভাবে বানাবেন: শসা কুঁচি করে তাতে দই, ভাজা জিরে গুঁড়ো এবং বিট নুন দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি শসার রায়তা ৷
পুদিনা রায়তা:পুদিনায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ৷ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে । এটি পেটের গ্যাস ও অ্যাসিডিটি কমায় ৷
কীভাবে বানাবেন:পুদিনা পাতা পেষ্ট করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে উপরে কিছু ভাজা মশলা দিন ।
বুন্দি রায়তা: এটি খাবারের পর খেলে শরীরকে হালকা করে ৷ এর স্বাদও সুস্বাদু ৷ এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় ।
কীভাবে বানাবেন: বুন্দি হালকাভাবে ভিজিয়ে দইয়ে মিশিয়ে নিন এবং তাতে কিছুটা পরিমাণ গোলমরিচ গুঁড়ো ও জিরে মিশিয়ে নিলেই তৈরি বুন্দি রায়তা ৷
ফ্রুট রায়তা:এই রায়তা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ । এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ফাইবার থাকে যা সুপারফুড হিসাবে ধরা হয় ৷
কীভাবে তৈরি করবেন:দইয়ে কাটা ফল (যেমন- আপেল, কলা, ডালিম) মিশিয়ে উপরে মধু দিন ।
বিট রায়তা: বিটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে । এটি রক্তশূন্যতা দূর করে এবং ত্বকের উন্নতি ঘটায় ।
যেভাবে বানাবেন: সিদ্ধ বা কাঁচা বিট একটু নেড়ে দইয়ে মেশান এবং বিট নুন, ভাজা জিরে ও ধনেপাতা দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি বিট রায়তা ৷