কলকাতা, 12 মার্চ: রবিনসন স্ট্রিট, যে রাস্তার নামটা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটি মহিলা ও দুই কুকুরের কঙ্কালের দেহ উদ্ধার ৷ 2015 সালের 10 জুন শহর কলকাতা সাক্ষী থাকে হাড়হিম করা এক ঘটনার ৷ 9 বছর পর সেই ঘটনাকে ছবির পর্দায় তুলে ধরছেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ৷ 15 মার্চ সিরিজ আকারে হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে ডক্যু সিরিজ 'রবিনসন স্ট্রিট হরর স্টোরি: মিথ ভার্সেস রিয়েলিটি'।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সিরিজের ট্রেলার। কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের একটি বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় 77 বছর বয়সি এক ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ দেহ। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, দিদির কঙ্কালের সঙ্গে মাসের পর মাস ওই বাড়িতে দিন কাটিয়েছেন ভাই পার্থ দে। মৃত দিদিকে খেতে অবধি দিত ভাই। এবার সেই ঘটনাকে সম্বল করেই কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের এই ডকুমেন্টারি সিরিজ। পরিচালক কমলেশ্বর বলেন, "মানুষ খবরের কাগজ, টেলিভিশনে দেখে যতটুকু জেনেছে তা যথেষ্ট নয়। এই নিয়ে কিছু জানার ইচ্ছা ছিল। ইচ্ছা ছিল ডকুমেন্টরি বানানোর। এবার সেটাই ডক্যু সিরিজ হিসেবে আসছে। ছয়টি এপিসোডে দেখানো হবে।"
দক্ষিণ কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণি থানার আওতাধীন তিন নম্বর রবিনসন স্ট্রিটে পার্থ দে-এর ঘটনা সামনে এসেছিল । 10 জুন পার্থ দে-র বাবা অরবিন্দ দে-র অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় বাথরুমের বাথটবে । পুলিশ সেখানে গেলে ঘটনার মোড় ঘুরে যায় ৷ বাড়ির ছেলে পার্থ দে তাঁর দিদি দেবযানী দে-এর কঙ্কালের সঙ্গে মাসের পর মাস বাস করেছেন বলে জানতে পারে পুলিশ ৷ ঠিক কী হয়েছিল পার্থ দে'র ৷ তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন নাকি ক্রিমিনাল, এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল শহরবাসী ও পুলিশের মনে ৷ পার্থ দে মানুষটা কেমন, কেন তিনি এই ধরনের কাজ করেছিলেন এই সবেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা হয়েছে এই ডক্যু সিরিজে। এই ঘটনা নিয়ে শেক্সপিয়ার থানার পুলিশ, সাংবাদিক, মনোবিদরা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন ৷