কলকাতা, 1 এপ্রিল: বর্তমান ব্য়স্ত সমাজে শিশুরা বড় একা । বেশিরভাগ মা আজ চাকুরিরতা । ফলে, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মাকে কাছে না পাওয়ার একটা যন্ত্রণা তাদের মনে থেকেই যায় । একইভাবে বেশিরভাগ নিউক্লিয়ার সংসারে সঙ্গে থাকেনা ঠাকুমা-ঠাকুরদা-ও । ফলে, বাড়িতে সঙ্গী বলতে তাকে দেখাশোনার লোক আর মুঠোফোন । এই মুঠোফোনই তাকে কল্পনার জগতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় । এরকমই এক বাস্তবকে সামনে রেখে আসছে শিবাজি দত্ত-এর নতুন বাংলা ছবি 'খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি'। তবে শুধু বাস্তবতাকে তুলে ধরা নয়, শিশুদের জন্য কলকাতার প্রথম এ.আই চলচ্চিত্র হতে চলেছে 'খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি' ।
বাস্তবতা যেখানে শেষ হয়, সেখান থেকেই শুরু হয় কল্পনার । এক শিশু যখন তার বাস্তবের বাবা-মাকে নিজের কাছে পায় না, কোনও বন্ধুর সান্নিধ্য পায় না, তখন সে আশ্রয় নেয় এক কাল্পনিক বন্ধুর । ‘খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি’ ছবির গল্পে তারই চিত্র ফুটে উঠেছে । এছাড়াও এই চলচ্চিত্র সেই দাদু-ঠাকুমাদের পুরোনো হারিয়ে যাওয়া শৈশব ফিরিয়ে আনারও চেষ্টা করা হয়েছে । গ্রামের মেঠো পথ, পুরোনো যাত্রাপালা, রাজনীতি, না বলা প্রেম সবকিছুর মিশেল হল এই সিনেমা।
এই গল্পের মূল চরিত্র হল - প্রবোধচন্দ্র (বয়স আন্দাজ 70), তার ছেলে অমিতাভ (40), অমিতাভের স্ত্রী হেম (35/37), ও অমিতাভের দুই ছেলে মেঘ আর বিদ্যুৎ । প্রবোধচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ক্ষীরোদাসুন্দরী সুইটস্ এর প্রতিষ্ঠাতা ৷ বর্তমানে কাজ থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি । চরিত্রের মধ্যে একটা আভিজাত্য ও পরিশ্রমের ছাপ রয়েছে । মনে তার অতীতের স্মৃতি (প্রেম ও বিরহ) এখনও দগদগে । দুই নাতির প্রতি বিপুল স্নেহ তার । ছেলে ও বৌমা তার এবং নাতির সঙ্গে সময় কাটাক, এটাই তার ইচ্ছা । কিন্তু ছেলে ও বৌমা সেই ব্যাপারে উদাসীন।