কলকাতা, 6 মে:1969 সাল । সত্যজিৎ রায় রুপোলি পর্দায় নিয়ে এলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা 'গুপি গাইন বাঘা বাইন'। সেই সময়ে ছবিটি টানা 51 সপ্তাহ চলেছিল প্রেক্ষাগৃহে । যেমন জমেছিল ব্যবসা, তেমনই জুটেছিল প্রশংসা । তার 55 বছর আবারও ফিরে এল তা ফিরে এল ৷ তবে এ বার হাজির 'এআই গুপি বাঘা' ৷ সৌজন্যে 'ভূতের রাজা দিল বর'৷
মুক্তি পাওয়ার পর সমালোচকদের প্রশংসাভরা লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়েছিল সত্যজিতের অমর সৃষ্টি 'গুপি গাইন বাঘা বাইন'। 'সেরা ছবি' এবং 'সেরা পরিচালক' দুটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার আসে 'গুপি গাইন বাঘা বাইন'-এর ঘরে । আসে চারটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার । এই ছবি আজও একইরকমভাবে দর্শকের কাছে সমাদৃত । আজকের প্রজন্মের কাছেও এর দারুণ কদর । এই ছবির গান ছিল এর সিগনেচার । 'দেখো রে নয়ন মেলে' থেকে 'মহারাজা তোমারে সেলাম', 'এক যে ছিল রাজা', 'ভূতের রাজা দিল বর', 'ওরে বাবা দেখো চেয়ে' প্রত্যেকটি গান আজও সমান জনপ্রিয় ।
অনুপ ঘোষালের কণ্ঠে একাধিক গান মন ভরিয়েছে বাঙালির । সঙ্গ দিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায় স্বয়ং এবং রবি ঘোষ । কামু মুখোপাধ্যায় এবং জহর রায়ও গেয়েছেন একটি গান । সে সব গান আজও নতুন, সজীব । দুঃখের কথা, এঁরা কেউই আজ আমাদের মধ্যে নেই । কিন্তু মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছে 'গুপি গাইন বাঘা বাইন', শুণ্ডির রাজা, ভূতের রাজা, বরফি, আমলকির রাজা, হরিতকী বনের রাজা, প্রধানমন্ত্রী, হল্লার চরেরা । আর বাঙালির হৃদয়ে তাদের অস্তিত্বের কথা মাথায় রেখেই এ বাংলার বুকে গজিয়ে উঠেছে রেস্তোরাঁ । নাম 'ভূতের রাজা দিল বর'। এদের 11টি শাখার প্রতিটিতে পা দিলেই মনে হবে চলে গিয়েছেন হীরক রাজার দেশে, শুণ্ডি রাজার রাজসভায় কিংবা আমলকি বনে ৷
'গুপি গাইন বাঘা বাইন'-এর শিল্পী কলাকুশলীরা সকলে আজ পৃথিবীতে না-থাকলেও চলে এলো ছবির সমস্ত বিবরণ সহযোগে গান । গানটি গেয়েছেন খরাজ মুখোপাধ্যায় । সম্পূর্ণ নতুনভাবে লেখা গানের সঙ্গে চরিত্রগুলোকে এআই ফরম্যাটে দেখানো হয়েছে । এই মিউজিক ভিডিয়োর উদ্যোক্তা 'ভূতের রাজা দিল বর'-এর রেস্তোরাঁ ।
কয়েকদিন আগেই গিয়েছে সত্যজিৎ রায়ের 103তম জন্মবার্ষিকী । আর সেদিনই 'ভূতের রাজা দিল বর' টিম হাজির করে 'এআই গুপি বাঘা'। যদিও এখনও সামাজিক মাধ্যমে তা আসেনি কিছু কাজ বাকি থাকায় । সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে রায় পরিবারকে এই উপহার দিলেন 'ভূতের রাজা দিল বর'-এর কর্ণধার রাজীব পাল । পাশাপাশি দুর্গাপুরে বড় পর্দায় প্রদর্শিত হয় এই ভিডিয়োটি ।