কলকাতা, 18 জুলাই: বিশ্বব্যাপী 38টি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ঘুরে 14টি পুরষ্কার ও নমিনেশন পেয়েছে অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি 'মাণিকবাবুর মেঘ'। রাশিয়ায় প্যাসিফিক মেরিডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন চন্দন সেন । ছবির সাফল্যকে কীভাবে দেখছেন ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে জানালেন অভিনেতা চন্দন সেন ৷
ইটিভি ভারত: 'মাণিকবাবুর মেঘ' আজ আলোচনার কেন্দ্রে। কেমন লাগছে?
চন্দন সেন: ভালো তো লাগছেই। তবে, কতগুলো বিপদও আছে। নিজের অভিনয় নিয়ে আরও সতর্ক থাকতে হবে। শেখার জায়গাটা বাড়াতে হবে। না হলে পারব না আগামীতে।
ইটিভি ভারত: সতীর্থরা কী বলছেন?
চন্দন সেন: অনেকে প্রশংসা করছেন, উৎসাহ দিচ্ছেন। তাতেও আবার ভয় আছে। আমার এর পরের নাটক বা সিনেমাতে তাঁদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকবে কেমন করলাম।
ইটিভি ভারত: সিনেমাটা নিয়ে আপনি কী বলবেন?
চন্দন সেন: যে ধরনের বাংলা ছবি দেখে মানুষ অভ্যস্ত, এটা ঠিক তেমন নয়। তবে, অনেকদিন পরে একটা সিনেমা তৈরি হয়েছে বলতে পারি। এখানে কোনও বুদ্ধির মারপ্যাঁচ নেই, একটা নিটোল প্রেমের গল্প 'মাণিকবাবুর মেঘ'। সর্বস্তরের মানুষ এই ছবিটি দেখতে আসছেন। মাল্টিপ্লেক্সেও যাঁরা আসছেন তাঁরা সবাই বোদ্ধা নন, সাধারণ সিনেমার দর্শক। সকলের মুখে সিনেমার প্রশংসা ভালো লাগছে ৷
ইটিভি ভারত: দেশের বাইরের মানুষ আপনার অভিনয় দেখে কী বললেন?
চন্দন সেন: আমি দেশের বাইরে যাইনি। দক্ষিণ ভারতীয় ক্যামেরাম্যান, অভিনেতা, এডিটর এবং কিছু মারাঠি মানুষের কাছেও পেয়েছি কদর।
ইটিভি ভারত: এমন একটা চরিত্র যার প্রেম এক টুকরো মেঘ। এরকম গল্পে নিজেকে স্থাপন করা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
চন্দন সেন: চ্যালেঞ্জ সত্যিই ছিল ৷ কোনও সংলাপ নেই অথচ হাজার হাজার কথা শোনাতে ও দেখাতে হবে। তাই চ্যালেঞ্জটা অভিনেতার কাছে নির্দেশকের। নৈঃশব্দের বাঙ্ময়তা কতটা প্রকাশ করা যায় সেটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
ইটিভি ভারত: বাংলা ধারাবাহিকে আজকাল দর্শক খুব পাচ্ছেন আপনাকে ৷ কেন?
চন্দন সেন: ডাকে না তো। কী করব বলুন? কেরিয়ারের শুরুর দিকে কাজের জন্য গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে জেনেছি যে রোলটা আমার করার কথা ছিল সেটা পরিচালকের ভাগ্নে করছেন। অনেক জায়গায় প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়েও বের করে দেওয়া হয়েছে। শুরুতে শুনেছিলাম কাজ চাইতে হবে। কিন্তু এখন তো কাজের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না। ভবিষ্যতে এমনটা হতে পারে। এখনও চালিয়ে নিতে পারছি। পরে না পারলে আমাকেও আবার কাজ চাইতে হতে পারে।