ETV Bharat / entertainment

ভুল হওয়ায় ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলি, চকোলেট খাওয়ান তপন সিনহা: দেবিকা মুখোপাধ্যায় - TAPAN SINHA DEATH ANNIVERSARY

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার 16তম প্র‍য়াণ দিবসে তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ইটিভি ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী দেবিকা মুখোপাধ্যায় ৷

ETV BHARAT
তপন সিনহাকে স্মরণ দেবিকা মুখোপাধ্যায়ের (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : Jan 15, 2025, 4:36 PM IST

কলকাতা, 15 জানুয়ারি: আজ প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার 16তম প্র‍য়াণ দিবস । 2009 সালের 15 জানুয়ারি দর্শকের বুকে আঘাত দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । তাঁর জনপ্রিয় সব ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে 'কাবুলিওয়ালা', 'ক্ষণিকের অতিথি', 'ক্ষুধিত পাষাণ', 'ঝিন্দের বন্দি', 'গল্প হলেও সত্যি', 'আপনজন', 'সাগিনা মাহাতো', 'জিন্দেগি জিন্দেগি', 'আতঙ্ক', 'অন্তর্ধান' 'আদালত ও একটি মেয়ে', 'বৈদুর্য রহস্য', 'এক যে ছিল দেশ'। বানিয়েছেন টিভি সিরিয়ালও । যেমন 'মানুষ' (হিন্দিতে বানান 'আদমি অউর অওরত'), 'হুতুমের নকশা'।

পরিচালক হিসেবে দীর্ঘ কর্মজীবনে বহু তারকাকে নিয়ে কাজ করেছেন তিনি । সেই তালিকায় উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত, ছবি বিশ্বাস থেকে শুরু করে বলিউডের ওয়াহিদা রহমান, সুনীল দত্ত, ফরিদা জালাল, শত্রুঘ্ন সিনহা রয়েছেন ৷ আছেন দুলাল লাহিড়ী থেকে দীপঙ্কর দে, কৃষ্ণা চৌধুরী, রবি ঘোষও । এঁদের সঙ্গেই নাম জুড়ে যায় দেবিকা মুখোপাধ্যায়ের । তিনি একাধিক ছবি এবং বাংলা ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তপন সিনহার পরিচালনায় । আজ পরিচালকের প্রয়াণ বার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতিতে ভাসলেন অভিনেত্রী ।

ETV BHARAT
অভিনেত্রী দেবিকা মুখোপাধ্যায় (নিজস্ব চিত্র)

দেবিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, "তপনদা'কে চিরতরে হারানোর যন্ত্রণা পরিবারের সবথেকে আপনজন বাবা-মা'কে হারানোর থেকে কম ছিল না সেদিন আমার কাছে । আজ সেই দিন । কত কথাই মনে পড়ে । প্রথম দেখা একটা শাড়ির দোকানে । আমি, মা আর বৌদিরা মিলে গড়িয়াহাটে একটা শাড়ির দোকানে শাড়ি দেখছি । মায়ের চোখ পড়ে ওনার দিকে । মা ঠিক চিনতে পারেন । মা আমাকে বলেন প্রণাম করো । আমিও করি । এরপর মা তপনদা'র ফোন নম্বর নেন । উনি দেখা করতে বলেন । মার উদ্যোগেই 'এনটি2' স্টুডিয়োতে গিয়েছিলাম ওঁর সঙ্গে দেখা করতে । তারপর তো কত কাজ করলাম ওঁর পরিচালনায়, 'বাঞ্ছারামের বাগান', 'রাজা', 'মানুষ', 'হুতুমের নকশা'। আমি যতদিন বাঁচব তপনদা'র সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো ভুলব না । নানা সময়ে মনে পড়ে টুকরো টুকরো কত ঘটনা ।"

তিনি আরও বলেন, "তপন সিনহা একটা প্রতিষ্ঠান ছিলেন । অনেক কিছু শেখার ছিল ওঁর কাছে । এখন কেউ শেখায় সেভাবে ? আমার তো জানা নেই । এমন একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি বলে নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে হয় । একদম সাহেব মানুষ ছিলেন তপনদা । ভীষণ ডিসিপ্লিনড । সময়মতো কাজ শুরু, সময়মতোই শেষ । আমরা আগে থেকেই জানতে পারতাম সেদিন ক'টার সময় প্যাক আপ হবে । 6টা বললে 6টা'তেই প্যাক আপ করতেন তপনদা । সময় মতো লাঞ্চ, সময় মতো ব্রেক, সময় মতো প্যাক আপ করতেন । নড়চড় করতেন না ।"

আউটডোরের মজার ঘটনা ভাগ করে নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, "আউটডোরে গিয়ে একসঙ্গে বারান্দায় আমাদের খাওয়া-দাওয়া হত । আমি তো লজ্জা পেতাম । একটু বেশি খেতে ইচ্ছে হলে চাইতে পারব তো ? যদি উনি আমার বেশি খাওয়া দেখে তাকান ? কিন্তু ঘটত ঠিক উলটোটা । নিজেই বলতেন, আরেকটা মাছ নাও তুমি । নিজেই লজ্জা ভেঙে দিতেন । এরকম হয়েছে দু'তিন বার । আউটডোর শেষ হলে আমাদের ক্যাম্প ফায়ার হত । খুব আনন্দ হত । উনি তেল ঝালের খাবার খেতেন না । স্যুপ জাতীয় খাবার খেতেন । তেল ঝাল ছাড়া খাবারই খেতেন শরীরের কথা ভেবে । কিন্তু আনন্দ করতেন সবার সঙ্গে বসে । আমি একবার পায়েস রেঁধে খাওয়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম ।"

অভিনেত্রী একটা মজার ঘটনা স্মরণ করে বলেন, "স্টিল ফোটোগ্রাফার সুকুমার রায় তপনদা'র নানা মুহূর্তের ছবি তুলতেন তখন । আর আমি কী করতাম ? গিয়ে টুক করে পাশে দাঁড়িয়ে পড়তাম । উনি মোড়ায় বসে ছবি তুলতে থাকলে আমিও একটা মোড়া নিয়ে বসে পড়তাম, দাদার সঙ্গে ছবি তুলব বলে । কিছু ছবি এখনও আছে আমার কাছে ।"

তিনি আরও বলেন, "কখনও চিৎকার করে বকাবকি করতেন না তপনদা । বুঝিয়ে বলতেন । এত সুন্দর ছিল তাঁর বলার ধরন যে, মনে হত যেন বাড়ির নিজেরই কেউ বলছেন । এটা তাঁর অধিকার । খুব আস্তে আস্তে বলতেন, 'রিহার্সাল করালাম তো । সেরকমই করো ।' করতে পারলে ভালো । নাহলে আবার টেক নিতেন । একবার খুব ভুল হওয়ায় ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলেছিলাম । তারপর মেক আপ ম্যান এসে আবার ঠিক করেন মেক আপ । শট দিয়ে ঘরে যাই । সন্ধেবেলায় দেখি, বলাইদা চকোলেট হাতে দরজায় হাজির । বললেন, তপনদা পাঠিয়েছেন । কোনও আর্টিস্ট ভুল করে কেঁদে ফেললে এখন কোনও পরিচালক দেবেন চকোলেট ? আমার তো জানা নেই । দশজন বড় পরিচালকের মধ্যে একজন ছিলেন তপনদা । একইসঙ্গে অসম্ভব বড় মনের মানুষ ছিলেন । সকলের খেয়াল রাখতেন । সবাই ঠিকঠাক খাচ্ছে কি না, সবার শরীর ভালো আছে কি না, সবদিকে খেয়াল রাখতেন ।"

সবশেষে বলেন, "তপনদা খুব সুরেলা মানুষ ছিলেন । ছন্দে থাকতেন সবসময় । কাজ শেষ হয়ে গেলে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে চলে যেতেন । গানের আড্ডাও বসাতেন তপনদা'র স্ত্রী । তপনদা'কে ঘিরে বসে গানের আড্ডা হত শুটিঙের ফাঁকে । আমিও গাইতাম ৷ শমিতদা (শমিত ভঞ্জ) গাইতেন । যে যা পারতেন গাইতেন । সে এক দিন ছিল আমাদের । তপনদা নিজের ছবির আবহ তো নিজেই বানাতেন । ওঁর চিন্তাভাবনা, মানসিকতা, অঙ্গভঙ্গি সবই তুলনাহীন । ওঁর হাত দেখেই বোঝা যেত যে, উনি শিল্পী মানুষ ছিলেন । খুব স্মার্ট, পরিপাটি, শান্ত একজন মানুষ । যাঁর প্রতি আমরা আর্টিস্টরা ইমপ্রেসড ছিলাম । ওঁর সঙ্গে করা কাজগুলো দিয়ে মানুষ আমাকে আরও বেশি করে চিনেছে । তাই ওগুলো আমার কাছে খুব সম্মানের । যতদিন বাঁচব তপনদা'র স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রাখব ।..."

কলকাতা, 15 জানুয়ারি: আজ প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার 16তম প্র‍য়াণ দিবস । 2009 সালের 15 জানুয়ারি দর্শকের বুকে আঘাত দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । তাঁর জনপ্রিয় সব ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে 'কাবুলিওয়ালা', 'ক্ষণিকের অতিথি', 'ক্ষুধিত পাষাণ', 'ঝিন্দের বন্দি', 'গল্প হলেও সত্যি', 'আপনজন', 'সাগিনা মাহাতো', 'জিন্দেগি জিন্দেগি', 'আতঙ্ক', 'অন্তর্ধান' 'আদালত ও একটি মেয়ে', 'বৈদুর্য রহস্য', 'এক যে ছিল দেশ'। বানিয়েছেন টিভি সিরিয়ালও । যেমন 'মানুষ' (হিন্দিতে বানান 'আদমি অউর অওরত'), 'হুতুমের নকশা'।

পরিচালক হিসেবে দীর্ঘ কর্মজীবনে বহু তারকাকে নিয়ে কাজ করেছেন তিনি । সেই তালিকায় উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত, ছবি বিশ্বাস থেকে শুরু করে বলিউডের ওয়াহিদা রহমান, সুনীল দত্ত, ফরিদা জালাল, শত্রুঘ্ন সিনহা রয়েছেন ৷ আছেন দুলাল লাহিড়ী থেকে দীপঙ্কর দে, কৃষ্ণা চৌধুরী, রবি ঘোষও । এঁদের সঙ্গেই নাম জুড়ে যায় দেবিকা মুখোপাধ্যায়ের । তিনি একাধিক ছবি এবং বাংলা ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তপন সিনহার পরিচালনায় । আজ পরিচালকের প্রয়াণ বার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতিতে ভাসলেন অভিনেত্রী ।

ETV BHARAT
অভিনেত্রী দেবিকা মুখোপাধ্যায় (নিজস্ব চিত্র)

দেবিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, "তপনদা'কে চিরতরে হারানোর যন্ত্রণা পরিবারের সবথেকে আপনজন বাবা-মা'কে হারানোর থেকে কম ছিল না সেদিন আমার কাছে । আজ সেই দিন । কত কথাই মনে পড়ে । প্রথম দেখা একটা শাড়ির দোকানে । আমি, মা আর বৌদিরা মিলে গড়িয়াহাটে একটা শাড়ির দোকানে শাড়ি দেখছি । মায়ের চোখ পড়ে ওনার দিকে । মা ঠিক চিনতে পারেন । মা আমাকে বলেন প্রণাম করো । আমিও করি । এরপর মা তপনদা'র ফোন নম্বর নেন । উনি দেখা করতে বলেন । মার উদ্যোগেই 'এনটি2' স্টুডিয়োতে গিয়েছিলাম ওঁর সঙ্গে দেখা করতে । তারপর তো কত কাজ করলাম ওঁর পরিচালনায়, 'বাঞ্ছারামের বাগান', 'রাজা', 'মানুষ', 'হুতুমের নকশা'। আমি যতদিন বাঁচব তপনদা'র সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো ভুলব না । নানা সময়ে মনে পড়ে টুকরো টুকরো কত ঘটনা ।"

তিনি আরও বলেন, "তপন সিনহা একটা প্রতিষ্ঠান ছিলেন । অনেক কিছু শেখার ছিল ওঁর কাছে । এখন কেউ শেখায় সেভাবে ? আমার তো জানা নেই । এমন একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি বলে নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে হয় । একদম সাহেব মানুষ ছিলেন তপনদা । ভীষণ ডিসিপ্লিনড । সময়মতো কাজ শুরু, সময়মতোই শেষ । আমরা আগে থেকেই জানতে পারতাম সেদিন ক'টার সময় প্যাক আপ হবে । 6টা বললে 6টা'তেই প্যাক আপ করতেন তপনদা । সময় মতো লাঞ্চ, সময় মতো ব্রেক, সময় মতো প্যাক আপ করতেন । নড়চড় করতেন না ।"

আউটডোরের মজার ঘটনা ভাগ করে নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, "আউটডোরে গিয়ে একসঙ্গে বারান্দায় আমাদের খাওয়া-দাওয়া হত । আমি তো লজ্জা পেতাম । একটু বেশি খেতে ইচ্ছে হলে চাইতে পারব তো ? যদি উনি আমার বেশি খাওয়া দেখে তাকান ? কিন্তু ঘটত ঠিক উলটোটা । নিজেই বলতেন, আরেকটা মাছ নাও তুমি । নিজেই লজ্জা ভেঙে দিতেন । এরকম হয়েছে দু'তিন বার । আউটডোর শেষ হলে আমাদের ক্যাম্প ফায়ার হত । খুব আনন্দ হত । উনি তেল ঝালের খাবার খেতেন না । স্যুপ জাতীয় খাবার খেতেন । তেল ঝাল ছাড়া খাবারই খেতেন শরীরের কথা ভেবে । কিন্তু আনন্দ করতেন সবার সঙ্গে বসে । আমি একবার পায়েস রেঁধে খাওয়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম ।"

অভিনেত্রী একটা মজার ঘটনা স্মরণ করে বলেন, "স্টিল ফোটোগ্রাফার সুকুমার রায় তপনদা'র নানা মুহূর্তের ছবি তুলতেন তখন । আর আমি কী করতাম ? গিয়ে টুক করে পাশে দাঁড়িয়ে পড়তাম । উনি মোড়ায় বসে ছবি তুলতে থাকলে আমিও একটা মোড়া নিয়ে বসে পড়তাম, দাদার সঙ্গে ছবি তুলব বলে । কিছু ছবি এখনও আছে আমার কাছে ।"

তিনি আরও বলেন, "কখনও চিৎকার করে বকাবকি করতেন না তপনদা । বুঝিয়ে বলতেন । এত সুন্দর ছিল তাঁর বলার ধরন যে, মনে হত যেন বাড়ির নিজেরই কেউ বলছেন । এটা তাঁর অধিকার । খুব আস্তে আস্তে বলতেন, 'রিহার্সাল করালাম তো । সেরকমই করো ।' করতে পারলে ভালো । নাহলে আবার টেক নিতেন । একবার খুব ভুল হওয়ায় ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলেছিলাম । তারপর মেক আপ ম্যান এসে আবার ঠিক করেন মেক আপ । শট দিয়ে ঘরে যাই । সন্ধেবেলায় দেখি, বলাইদা চকোলেট হাতে দরজায় হাজির । বললেন, তপনদা পাঠিয়েছেন । কোনও আর্টিস্ট ভুল করে কেঁদে ফেললে এখন কোনও পরিচালক দেবেন চকোলেট ? আমার তো জানা নেই । দশজন বড় পরিচালকের মধ্যে একজন ছিলেন তপনদা । একইসঙ্গে অসম্ভব বড় মনের মানুষ ছিলেন । সকলের খেয়াল রাখতেন । সবাই ঠিকঠাক খাচ্ছে কি না, সবার শরীর ভালো আছে কি না, সবদিকে খেয়াল রাখতেন ।"

সবশেষে বলেন, "তপনদা খুব সুরেলা মানুষ ছিলেন । ছন্দে থাকতেন সবসময় । কাজ শেষ হয়ে গেলে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে চলে যেতেন । গানের আড্ডাও বসাতেন তপনদা'র স্ত্রী । তপনদা'কে ঘিরে বসে গানের আড্ডা হত শুটিঙের ফাঁকে । আমিও গাইতাম ৷ শমিতদা (শমিত ভঞ্জ) গাইতেন । যে যা পারতেন গাইতেন । সে এক দিন ছিল আমাদের । তপনদা নিজের ছবির আবহ তো নিজেই বানাতেন । ওঁর চিন্তাভাবনা, মানসিকতা, অঙ্গভঙ্গি সবই তুলনাহীন । ওঁর হাত দেখেই বোঝা যেত যে, উনি শিল্পী মানুষ ছিলেন । খুব স্মার্ট, পরিপাটি, শান্ত একজন মানুষ । যাঁর প্রতি আমরা আর্টিস্টরা ইমপ্রেসড ছিলাম । ওঁর সঙ্গে করা কাজগুলো দিয়ে মানুষ আমাকে আরও বেশি করে চিনেছে । তাই ওগুলো আমার কাছে খুব সম্মানের । যতদিন বাঁচব তপনদা'র স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রাখব ।..."

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.