হায়দরাবাদ, 12 এপ্রিল: ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে মির্জা ৷ প্রথমবার প্রযোজকের আসনে অঙ্কুশ হাজরা ৷ মির্জা মুক্তিপ পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ভালো পেলেও বক্স-অফিসে টাকা উঠবে কি না, চিন্তায় অভিনেতা-প্রযোজক অঙ্কুশ ৷ সোশাল মিডিয়ায় এসে বেশ কিছু সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ ও বাংলা ছবি ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা-আকাঙ্খার কথা বললেন অঙ্কুশ ৷
তিনি বলেন, "সকলকে অনেক ধন্যবাদ মির্জাকে এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য ৷ অনেকগুলো শো হাউসফুল হয়েছে ৷ অনেক বছর পর সিঙ্গল স্ক্রিনের বাইরে এমন ভিড় নজরে এল ৷ সকলেই বলছেন কর্মাশিয়াল সিনেমা ফিরে এসেছে ৷ তবে আমাদের কর্মাশিয়াল সিনেমার এখন যা পারিপার্শ্বিক অবস্থা তা থেকে বলা যায় আমাদের লড়ে যেতে হবে ৷ এই ধরনের ছবি বানানো বন্ধ করলে হবে না ৷ মির্জা ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে দেখে ভালো লাগছে ৷ আবার কষ্ট লাগছে এটা দেখে যে 2014-15 সালে সিঙ্গল স্ক্রিনের যে দৌরাত্ম্য ছিল সেটা এখন নেই ৷"
অভিনেতা অঙ্কুশ আরও জানান, এক সময়ে 800টি সিঙ্গল স্ক্রিন ছিল ৷ সেটা কমে এখন 170-এর কাছে চলে এসেছে ৷ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রেক্ষাগৃহগুলো চালাতে গেলে এই ধরনের কর্মাশিয়াল সিনেমা বানানো দরকার ৷ সব কর্মাশিয়াল ছবি মানেই তাতে অ্যাকশন-গ্যাংস্টার, লার্জার দ্যান লাইফ থাকবে তা কিন্তু নয় ৷ তবে দু-আড়াই ঘণ্টা একটা বাংলা সিনেমাকে প্রেক্ষাগৃহে বসে যাতে দর্শকরা উদযাপন করতে পারে তেমন ছবি বানাতে হবে ঠিক যেমন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বা বলিউডে হয় ৷
এরপর প্রযোজক হিসাবে অঙ্কুশ বলেন, "আমি মির্জাতে যে খরচাটা করেছি, সেটা আমি তুলতে পারব কি না জানি না ৷ আজকের বাজারে বাংলার মাস সিনেমার যা অবস্থা একটা মিরাকেল হলে আমি সিনেমায় যে টাকা লাগিয়েছি কিচ্ছু না ভেবে তা ফেরত পাব ৷ তবে রিটার্নের আশা আমি করছি না ৷ কিন্তু প্রথমদিনে মির্জা নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ও ভালোবাসা দেখে আমি জানাচ্ছি, মির্জা 2 বানাবোই ৷ মির্জার থেকে বড় করে বানাবো ৷ "