ভিটামিন বি -12 একটি অপরিহার্য ভিটামিন যা শরীরের প্রতিটি কোষের প্রয়োজন । ভিটামিন B-12 শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । এটি ডিএনএ সংশ্লেষণে সাহায্য করে ৷ লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে, যা রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে ৷ মায়েলিন শিথের ভিটামিন বি-12 প্রয়োজন, যা স্বাভাবিক স্নায়ু কোষের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে ৷
ভিটামিন B-12 অনেক জন্মগত ত্রুটি থেকে রক্ষা করে । এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করে ৷ কিন্তু আমাদের শরীর নিজে থেকে ভিটামিন B-12 তৈরি করতে পারে না । তাই এটি শুধুমাত্র খাদ্য বা সম্পূরক আকারে গ্রহণ করা আবশ্যক হয়ে ওঠে । ভালো জিনিস হল লিভার অতিরিক্ত ভিটামিন B-12 সঞ্চয় করে ।
ভিটামিন B-12 এর উৎস:
ভিটামিন B-12 আমিষ জাতীয় খাবার, লিভার, ক্লাম, সার্ডিন, লাল মাংস, স্যামন, টুনা, শেল ফিশ, ডিম, দুধ, দই, পনির ইত্যাদিতে পাওয়া যায় ৷ যা শরীরে এর ঘাটতি পূরণ করতে পারে । কিন্তু খাবারে ঘাটতি থাকলে শরীরে ভিটামিন বি-12 এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে । এটির অভাবের লক্ষণগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ এটি অনেক রোগের কারণ হতে পারে । তাই শরীরে ভিটামিন B-12 এর ঘাটতির লক্ষণগুলি বুঝুন, যাতে সময়মতো তা পূরণ করা যায় । জেনে নিন, ভিটামিন বি-12 এর অভাবের কিছু লক্ষণ ৷
ক্লান্তি: শরীরে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ কম থাকায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না ৷ যার কারণে মানুষ সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ করে ।
মানসিক ব্যাধি: ভিটামিন B-12 এর ঘাটতিও অনেক মানসিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে ৷ যার মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ, প্যারানিয়া, বিভ্রম, বিষণ্নতা, ডিমেনশিয়া ইত্যাদি ।
শ্বাসকষ্ট: অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে, যার ফলে শ্বাসরোধের অনুভূতি হয় ।
ঝাপসা দৃষ্টি: ভিটামিন B-12 এর অভাব অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে ৷ যা চোখ থেকে মস্তিষ্কে সংকেতকে প্রভাবিত করে এবং দৃষ্টি ঝাপসা করে ।
পেট ব্যাথা: অন্ত্রে অক্সিজেনের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, গ্যাস, ফোলা ইত্যাদি সমস্যা হতে শুরু করে ।
https://www.health.harvard.edu/blog/vitamin-b12-deficiency-can-be-sneaky-harmful-201301105780
https://ods.od.nih.gov/factsheets/VitaminB12-Consumer/
https://ods.od.nih.gov/factsheets/VitaminB12-HealthProfessional/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)