কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: সালটা 1962, জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ফুটবল দল জিতল সোনা ৷ দক্ষিণ কোরিয়াকে 2-1 গোলে হারাল ফুটবল টিম ৷ নেপথ্যে ক্যাপ্টেন চুনী গোস্বামী ৷ ফুটবলার হিসাবে তখন আন্তর্জাতিক স্তরে জয়জয়কার ভারতীয় তথা বাঙালি ফুটবলারের ৷ পূর্ববঙ্গ তথা বর্তমান বাংলাদেশের সুবিমল গোস্বামী ফুটবলে ড্রিবলিংয়ের রাজা হয়ে উঠলেন, তা এক মস্তবড় উপাখ্যান ৷ তাঁর জীবনের ছোট্ট একটা অংশ ধরা পড়তে চলেছে অমিত শর্মা পরিচালিত 'ময়দান' ছবিতে ৷ সেখানে ভারতীয় ফুটবল টিমের অন্যতম সেরা অধিনায়কের যুবা বয়কে পর্দায় তুলে ধরতে চলেছেন চৈতি ঘোষালের ছেলে অমর্ত্য রায় ৷
এই চরিত্রের জন্য নিজেকে ভালো মতো প্রস্তুত করার কাজে নেমে পড়েছেন অমর্ত্য। ছোট থেকেই ফুটবল খেলেন অমর্ত্য। তিনি বলেন, "জার্নেল সিং, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে নানান গল্প আমি আমার মেসো পার্থ রুদ্রর কাছ থেকে জেনেছি। অবাক হয়েছি তাঁদের স্পিরিটের কথা জেনে। আর এবার সেরকমই চরিত্রে অভিনয় করলাম।" অমর্ত্য বাংলা সিনেমা, টেলিভিশন তথা নাট্যজগতের স্বনামধন্য অভিনেত্রী চৈতি ঘোষালের পুত্র। পুণের এফটিআইআই থেকে সিনেমা নিয়ে পড়াশুনে করে ফিরেছেন অমর্ত্য। মায়ের পরিচালনায় 'নেভার মাইন্ড' ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। পা রাখলেন বলিউডেও। অভিনয়ের পাশাপাশি গান গাওয়া এবং গান লেখাতেও সমান পারদর্শী এই অভিনেতা।
এপ্রিল মাসে ঈদের দিনে মুক্তি পেতে চলেছে অমিত শর্মা পরিচালিত হিন্দি ছবি 'ময়দান'। যেখানে একঝাঁক বাঙালি অভিনেতাকে দেখা যাবে নানান চরিত্রে। থাকছেন রুদ্রনীল ঘোষ, অমর্ত্য রায়, আরিয়ান ভৌমিক, তন্ময় ভট্টাচার্যর মতো অভিনেতারা। ময়দান ছবিটিতে সহকারি-প্রযোজক হিসাবে রয়েছেন বনি কাপুরও ৷ রয়েছে জি স্টোডিয়ো প্রযোজনা সংস্থাও৷ ভারতীয় ফুটবলের লেজেন্ডারি কোচ সৈয়দ আব্দুল রহিমের জীবন তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে ৷ 1950 থেকে 1963 সাল পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবল খেলায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ৷ ফুটবলের সেই স্বর্ণযুগ পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চলেছেন অজয় দেবগণ ৷
প্রসঙ্গত, তবে শুধু ফুটবলে নয়, ক্রিকেটার হিসাবে সফল ছিলেন চুনী গোস্বামী ৷ বাংলা দলের হয়ে রনজি ট্রফিতে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি ৷ 1954 থেকে 1968 সাল পর্যন্ত মোহনবাগানে খেলেন ৷ তিনি অধিনায়ক হিসাবে তেল আভিভে এশিয়া কাপের রৌপ্য পদক জয় করেছিলেন ৷ 1963 সালে চুনী গোস্বামী অর্জুন পুরস্কার ও 1983 সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন ৷ 2005 সালে তিনি পান মোহনবাগান রত্ন ৷ভারতীয় ক্রীড়া ইতিহাসে তাঁর নাম লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে।