কলকাতা, 24 নভেম্বর: বয়স তো সংখ্যা মাত্র ৷ তাকে কীভাবে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে হয় তা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে শিখিয়ে চলেছেন অভিনেতা, গায়ক তথা চলচ্চিত্র পরিচালক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। নিয়মিত গানের লাইভ স্টেজ শো করেন আজও। পরিচালনা করছেন বহুভাষী ছবি 'অগ্নিযুগ: দ্য ফায়ার'।
যে ছবিতে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র, অনুপম খের, জ্যাকি শ্রফ-সহ এক ঝাঁক মুম্বইয়ের এবং বিদেশি শিল্পী। রয়েছেন তাঁর কন্যা সাম্ভবী চট্টোপাধ্যায়ও। অভিনয়ের পাশাপাশি বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গানের সফরও মনে রাখার মতো। প্লেব্যাক করেন একাধিক ছবিতে। তাঁর কণ্ঠে মুক্তি পেত পুজোর অ্যালবাম। বাংলা গান গেয়েছেন তাবড় তাবড় সঙ্গীত পরিচালকদের সুরে ৷ 'যায় যায় দিন বসে বসে দিন', 'বলাকা ও বলাকা', 'কখন নদীর তীরে সন্ধ্যা নামবে ওগো', 'তোমার চোখের কাজলে'-সহ বহু হিট গান আছে তাঁর কণ্ঠে। গানের প্রতি অপার আগ্রহ আর অনুভবী কণ্ঠের ডানায় ভর করে নিজের মিউজিক্যাল জার্নি প্রশস্ত করেছেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেই গল্প শুনে নিল ইটিভি ভারত।
ইটিভি ভারত: এখনও নিয়মিত গানের লাইভ শো করেন। এত এনার্জি পান কীভাবে?
বিশ্বজিৎ: গান আমার প্যাশন। ভালোবেসে গাই। ভগবান শক্তি জোগান আর আছে মানুষের ভালোবাসা।
ইটিভি ভারত: গানের তালিম নেওয়া হয়েছে কখনও?
বিশ্বজিৎ: না, তালিম নিইনি কখনও। গাইতে ভালোলাগে তাই গাইতাম। আজও গাই। হেমন্ত দা'র (মুখোপাধ্যায়) কাছ থেকে গানের ব্যাপারে অনেক গাইডেন্স পেয়েছি। আমি মুম্বইতে ওঁর 'গীতাঞ্জলি'তে থাকতাম একটা সময়ে। ওটা আমার আরেকটা বাড়ি।
ইটিভি ভারত: সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানেও আপনি গান গাইলেন...
বিশ্বজিৎ: হ্যাঁ। অনুরোধে গেয়েছি। কিন্তু ওখানে আমি শো করতে যাইনি। অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম। কিন্তু দর্শক আমার কাছে গান শুনতে চান। আমিও ওঁদের অনুরোধ রেখেছি। 'পুকারতা চলা হুঁ ম্যায়' গাইলাম। করতালিতে ভরে গিয়েছিল অডিটোরিয়াম। আয়োজকেরা পরের বছরের অনুষ্ঠানে আমাকে গাইতে হবে বলে বায়না করেছেন। আমাকে ঘিরে মানুষের এত উচ্ছ্বাস দেখে আয়োজকেরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। মানুষ আমাকে একবার ছুঁতে চেয়েছেন, আমার সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। আমিও অবাক। যে উন্মাদনা শাহরুখ খান, আমির খান, সলমন খান, হৃত্বিক রোশনকে দেখে হয় সেই উন্মাদনা আমাকে দেখেও! মহম্মদ রফি এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতেই ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আমাকেও অনেক সম্মান জানিয়েছেন ওঁরা।