ভুবনেশ্বর, 29 নভেম্বর:ডিজিপি-আইজিপি সম্মেলন এবার হচ্ছে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে ৷ শুক্রবার এই পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের 59তম সর্বভারতীয় এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ৷
এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও 59তম সর্বভারতীয় ডিজিপি-আইজিপি কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন ৷ জানা গিয়েছে, আজ থেকে তিন দিনের ওড়িশায় সফরে সেখানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷
এদিন বিকেল 4.30 নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদি ওড়িশার বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন ৷ এরপর প্রথমে ভুবনেশ্বরে একটি জনসভায় বক্তৃতা দেন তিনি ৷ জনসভা শেষে ভুবনেশ্বরেই রোড শো করেন তিনি ৷ আজই রাজভবনে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ৷
ওড়িশায় ডিজিপি-আইজি সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, সেখানে পৌঁছে জনসভা রোড শো করলেন প্রধানমন্ত্রী (ইটিভি ভারত) জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের কড়া আক্রমণ শানান ৷ বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা, অভিযোগ করেন তিনি ৷ ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী-নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "বিরোধীদের একটা লক্ষ্য়, যে কোনও উপায়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা দখল করা ৷ যারা মনে করে যে ক্ষমতা তাদের জন্মগত অধিকার, তারাই গত এক দশক ধরে কেন্দ্রে সরকার গড়তে পারেনি ৷"
ওড়িশা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, "ওড়িশা ভোটের ফলাফল অনেক তাবড় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞকে অবাক করে দিয়েছে ৷ যাঁরা ওড়িশায় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের ধারণাটাই উড়িয়ে দিয়েছিলেন ৷ ওড়িশা, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র নির্বাচনে বিজেপি বিপুল সাফল্যই দলের কর্মীদের শক্তির পরিচয় ৷"
এদিন ওড়িশা সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "সারা ভারতের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা এই ডিজিপি/আইজিপি সম্মেলনে যোগ দেবেন ৷ ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রসারণে জোর দেওয়া হবে এই সম্মেলনে ৷ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দিক এবং সর্বসাধারণের নিরাপত্তা উন্নত করা নিয়েও আলোচনা হবে ৷" তিনি আরও জানান যে, ওড়িশা বিজেপি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতা করার কথা রয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে ট্রাফিকের কথা ভেবে শুক্রবার দুপুর 1টায় স্কুলগুলি ছুটি ঘোষণা করে ৷
শনিবার ও রবিবার ডিজিপি-আইজিপি সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, 29 নভেম্বর থেকে 1 ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে ৷ নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা বিষয় যেমন সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ, মাওবাদী সমস্যা, উপকূলে নিরাপত্তা এবং নতুন অপরাধ আইনগুলি নিয়ে আলোচনা হবে ৷
এই মঞ্চে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুগুলি নিয়ে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা এবং সুরক্ষার কাজে যুক্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের তাঁদের মত বিনিময় করতে পারবেন ৷ 2014 সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুপ্রেরণায় প্রতি বছর এই ডিজিপি-আইজিপি সম্মেলন হয়ে চলেছে ৷
এর আগে অসমের গুয়াহাটি, গুজরাতের কচ্ছের রণ, তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের টেকানপুর, গুজরাতের কেভাড়িয়ায় স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, মহারাষ্ট্রের পুনে, উত্তর প্রদেশের লখনউ, নয়াদিল্লি এবং রাজস্থানে জয়পুরে এই সম্মেলেন হয়েছে ৷