হায়দরাবাদ, 4 এপ্রিল::ছাতা, রোদ চশমা নিয়ে বাইরে বেরোলেও টেকা দায় রোদের তাপে ৷ তেলেঙ্গনার নালগোন্ডা জেলার ইব্রাহিম পেটা এলাকায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে 43 ডিগ্রির উপরে ৷ তেলেঙ্গানা স্টেট ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং সোসাইটির প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবারও রাজ্যে জারি ছিল তাপপ্রবাহ ৷ দক্ষিণের রাজ্যটিতে টানা সপ্তম দিন তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর ৷ এই অবস্থায় স্বস্তির খবর শোনাল মৌসম ভবন ৷ দিল বৃষ্টির পূর্বাভাস ৷
মৌসম ভবন জানিয়েছে, 7 এপ্রিল থেকে 9 এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ পাশাপাশি মৌসম ভবন আশা করছে রাজ্যে প্রাক-মরশুমি বৃষ্টিও শুরু হবে ৷ যা অনেকটাই স্বস্তি দেবে রাজ্যবাসীকে ৷ ইতিমধ্যেই মৌসম ভবনের তরফে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কী কী করণীয় তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ শুক্রবার তেলেঙ্গানার আবহাওয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে ভাদাদ্রি, কোথাগুডেম, খাম্মাম, নালগোন্ডা, সূর্যপেট, মাহাবুবনগর এবং নগরকুমুল জেলার বিচ্ছিন্ন জায়গায় তাপপ্রবাহ জারি থাকবে ৷
অন্যদিকে, সারা ভারতের আবহাওয়ার ক্ষেত্রে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ বলা হয়েছে, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় অত্যাধিক গরম অনুভূত হবে ৷ এর মধ্যে দেশের মধ্য ও পশ্চিমভাগের অবস্থা হবে সবচেয়ে খারাপ ৷ ফলে যথারীতি এর একটা চাপ যে বিদ্যুৎ বিভাগের উপর পড়বে, তা বলাই বাহুল্য ৷ কারণ, গরম থেকে রেহাই পেতে এসি, ফ্যান, কুলারের ব্যবহারের মাত্রা বাড়ে এই সময় ৷ সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমস্ত বিদ্যুত কেন্দ্রকে পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে বলা হয়েছে ৷
বিদ্যুৎ মন্ত্রক এই গ্রীষ্মে (এপ্রিল-জুন) সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা 260 গিগাওয়াট (GW) অনুমান করেছে, যা গত বছরের সেপ্টেম্বরে 243 গিগাওয়াট রেকর্ডের চেয়ে বেশি।