নয়াদিল্লি, 18 জুন: পরীক্ষার্থীরা পরিশ্রম করে, ভালো ভবিষ্যৎ গড়ার আশা নিয়ে পরীক্ষা দেয় ৷ কোনওভাবেই তাঁদের স্বার্থ উপেক্ষা করা যাবে না ৷ ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি-কাম-এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট) সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্র ও জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থাকে (এনটিএ) জানাল সুপ্রিম কোর্ট ৷ মেডিক্যাল জয়েন্টে অনিয়মের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ৷
বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ এদিন শুনানিতে জানিয়েছে, 0.001 শতাংশ অনিয়ম হলেও ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ দুর্নীতিতে যুক্ত কেউ যেন ছাড় না পায় ৷ পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ৷ এজেন্সিকে (জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা) তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে ৷
বিচারপতি ভাট্টি এদিন শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের বলেন, ‘‘এই মামলাকে ‘প্রতিপক্ষের করা মামলা’ হিসেবে ভাবা ভুল হবে ৷ একজন ব্যক্তি যিনি প্রতারণা করে ডাক্তার হয়েছেন, তিনি সমাজের জন্য আরও ক্ষতিকর ৷ সমাজের পিছিয়ে পড়া বা আর্থিকভাবে দুর্বল পরীক্ষার্থীরাও এই পরীক্ষার জন্য তৈরি হন ৷’’
কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট কানু আগরওয়াল আদালতের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন ৷ শুনানিতে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছি ।’’ 13 জুনের আদেশের উল্লেখ করে আগরওয়াল বলেন, ‘‘গ্রেস মার্কের বিষয়টি এনটিএ’র পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।’’ তিনি জানান, বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে যে কোথায় ভুল হয়েছে তা খুঁজে পাওয়া কঠিন নয় ৷ আগরওয়াল বলেন, ‘‘কতজন সেল ফোন ব্যবহার করেছেন তা দেখা হবে ৷ এক্ষেত্রে যদিও আমরা কদাচিৎ প্রতিক্রিয়া দেখাই ৷ ছুটির সময় তা আরও কম করি ।’’
নিট পরীক্ষার পেপার ফাঁস এবং অনিয়ম সংক্রান্ত একটি পিটিশনের শুনানির সময় শীর্ষ আদালত এই পর্যবেক্ষণগুলি করেছে ৷ শীর্ষ আদালত কেন্দ্র এবং এনটিএ’কে নোটিশ জারি করেছে ৷ 8 জুলাই এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ৷ গত সপ্তাহে, শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে 1563 জন পরীক্ষার্থীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে ৷ জানানো হয়েছে, তাদের জন্য 23 জুন ফের একটি ঐচ্ছিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷ 30 জুন তার ফলাফল ঘোষণা করা হবে ।