বৈশালি (বিহার), 5 অগস্ট:শ্রাবণের সোমবারে মহাদেবের মাথায় জল যাওয়ার সময় গাড়িতেবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু 9 পুণ্যার্থীর ৷ আহত বেশ কয়েকজন ৷ তাঁদের মধ্যে 2 জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ রবিবার বৈশালীর হাজিপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল থানা এলাকায় ঘটনা ৷ জানা গিয়েছে, শ্রাবণ মাসের সোমবারের পুজো দিতে সোনপুর বাবা হরিহরনাথে মন্দিরে যাচ্ছিল পুণ্যার্থীদের একটি দল ৷
মহাদেবের জলাভিষেকের আগেই দুর্ঘটনা (ইটিভি ভারত) মৃতরা হলেন, ধর্মেন্দ্র পাসোয়ান, লালা দাস, ফুদেনা পাসোয়ান, সনোজ ভগত, মন্টু পাসোয়ান, পরমেশ্বর পাসোয়ান, মিন্টু পাসওয়ান এবং চন্দেশ্বর পাসওয়ান। আহতদের মধ্যে রাজীব কুমার (17), উমেশ পাসওয়ান-সহ তিনজন রয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন নাবালকও রয়েছে । এদিন সুলতানপুর গ্রামের একদল পুণ্যার্থী একটি ট্রলিতে ডিজে ও বক্সে গান বাজিয়ে পহেলজা ঘাটে জল তুলতে যাচ্ছিলেন ৷ কিছুদূর যাওয়ার পর একটি হাইটেনশন তার তাদের গাড়িতে থাকা ডিজে-বক্সের উপরের অংশ আটেক যায় ৷ 11 হাজার ভোল্টেজ ছিল ওই বৈদ্যুতিক তারের ৷ তড়িৎতাহত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃ্ত্যু হয় 8 পুণ্যার্থীর ৷ বেশ কয়েকজন আহত হন ৷ পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ৷ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়।
সদর এসডিপিও ওম প্রকাশ বলেন, "পুণ্যার্থীরাইন্ডাস্ট্রিয়াল থানার অন্তর্গত সুলতানপুর গ্রাম থেকে একটি ডিজে বাজিয়ে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন সোনপুর বাবা হরিহরনাথে মন্দিরে। ডিজে গাড়ি লাউডস্পিকার খুব জোরে। গাড়িটি রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় 11 হাজার ভোল্টের তারের আটকে যায়। এতে 8 জনের মৃত্যু হয়ে। আহত হয় আরও কয়েকজন।" পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ যাদিও গ্রামবাসীদের দাবি, এই ঘটনায় কমপক্ষে 10 জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে ৷
ঘটনা প্রসঙ্গেই সুলতানপুর পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য সুজিত পাসোয়ান বলেন, "খুবই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ৷ 8 থেকে 10 জন যুবক ছিল ওই ডিজে ট্রলিতে। প্রথমে 4-5 ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিল। তাঁদেরকে বাঁচাতে গিয়ে অন্যরাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিল। সুলতানপুর থেকে একটি ট্রলি নিয়ে হরিহরনাথ মন্দিরে যাচ্ছিল তাঁরা । 8 ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।"
স্থানীয় বাসিন্দা মধুরেন্দ্র কুমার জানান, ঘটনার সময় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করা হলেও কেউ লাইন কাটেনি। দুর্ঘটনার আধ ঘণ্টা পর লাইন কেটে দেওয়া হয়। জনগণ বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। তিনি বলেন, সময়মতো লাইন কেটে দিলে হয়তো পুণ্যার্থীদের জীবন বাঁচানো যেত।