কলকাতা/প্রয়াগরাজ, 24 ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের 'মৃত্যুকুম্ভ' মন্তব্যের পরও বাংলা থেকে প্রয়াগে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের সংখ্য়া কিছুই কমেনি ৷ যোগী সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে অন্তত এমনটাই বলা হয়েছে ৷
পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল থেকে 2000 পুণ্য়ার্থীদের একটি বিশাল দল রবিবার প্রয়াগরাজে পৌঁছেছে বলে উত্তরপ্রদেশ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, 40টি বাসে আসা পুণ্যার্থীরা সাধুদের সঙ্গে পুজোয় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানও করেছেন ৷ অযোধ্যা রঘুবংশ সংকল্প সেবার সভাপতি স্বামী দিলীপ দাস ত্যাগী জানান, এই দলটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছে। বেশ কয়েক মাস ধরে তাদের প্রস্তুতি চলছিল। তিনি বলেন, "মহাকুম্ভ হল বিশ্বের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় সমাবেশ ৷ আমরা সকলেই এর মহিমা প্রত্যক্ষ করতে আগ্রহী ছিলাম ৷"
অন্যদিকে রবিবার কলকাতা থেকেও বহু মানুষ কুম্ভের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন ৷ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দুটি প্রয়াগরাজ-গামী ফ্লাইট প্রায় সম্পূর্ণ ভর্তি ছিল ৷ এরা সকলেই কুম্ভ স্নানে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন ৷ ট্রেনে করেও অনেকেই কুম্ভের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন হাওড়া বা শিয়ালদা স্টেশন থেকে ৷
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকেও বিপুল সংখ্যক ভক্ত অংশগ্রহণ করেছেন কুম্ভে। প্রসঙ্গত, গত 18 ফেব্রুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনার জেরে "মৃত্যুকুম্ভ" বলে উল্লেখ করেছিলেন। গত মাসে প্রয়াগরাজে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে 30 জনের মৃত্যু হয় ৷ 60 জন আহত হয়েছেন ৷ এরপরই নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনেও সম্প্রতি পদপিষ্ট হয়ে 18 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷
এরপরই রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "আমি এটাকে মহাকুম্ভ বলব না। এটি এখন 'মৃত্যুকুম্ভ'-এ পরিণত হয়েছে। এটি একটি মৃত্যুর গর্তের মতো। আমি মহাকুম্ভকে সম্মান করি, আমি মা গঙ্গাকে সম্মান করি। তবে, অনুষ্ঠানের কোনও পরিকল্পনা ছিল না ৷" 13 জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া 45 দিনের কুম্ভমেলা 26 ফেব্রুয়ারি শেষ হবে ৷ উত্তরপ্রদেশ সরকারের দাবি, ত্রিবেণী সঙ্গমে শুরু হওয়ার পর থেকে 60 কোটিরও বেশি মানুষ স্নান করেছেন কুম্ভে ৷ (পিটিআই)