দেওঘর, 7 জুলাই: নগর থানা এলাকায় ধসে পড়ল সীতা হোটেলের বহুতল ভবনটি ৷ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া লোকজনকে দ্রুত উদ্ধারের কাজও চলছে। সকাল থেকেই উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ-এর দল।
জানা গিয়েছে, এই বহুতলটি সীতাকান্ত ঝা নামে এক ব্যক্তির। তিনতলা এই বাড়িটিতে অনেকেই ভাড়া থাকছিলেন ৷ গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টির জেরেই বহুতলটি কার্যত ঙেভে পড়ে বলে খবর ৷ অন্যদিকে, নীচের তলায় নির্মাণের কাজও চলছিল বলে জানা গিয়েছে। যে কারণে বাড়ির ভিত আরও দুর্বল হয়ে পড়েছিল। রাতভর বৃষ্টি চলার পর হঠাৎ এদিন বাড়িটি ধসে পড়ে। এতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বসবাসকারী লোকজন ঘরের ভিতরে আটকে পড়েন বলেও জানা গিয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মোট সাতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সুনীল যাদব, মণীশ দত্ত এবং সুনীল যাদবের স্ত্রী সোনি দেবীর নাম উঠে এসেছে। দেওঘর সদর হাসপাতালে বাকিদের চিকিৎসা চলছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
ঘটনার খবর পেয়ে দেওঘর জেলা প্রশাসক বিশাল সাগর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, "জেলা প্রশাসন ঘটনার খবর পেয়েই এনডিআরএফ ও মেডিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত চারজনকে উদ্ধার করে বের করে আনা হয়েছে ৷" জেলাশাসক ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন এবং পুরো উদ্ধার অভিযানের দিকে নজর রাখছেন বলেও জানানো হয়েছে ৷
দেওঘর জেলার সিভিল সার্জন রঞ্জন কুমার সিনহা জানিয়েছেন, চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁদের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আর দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাড়িটি সম্পর্কে স্থানীয়রা জানিয়েছে, বাড়িটি 1994 সালে তৈরি হয় ৷ ভবনটি নির্মাণের পর বহু বছর এর কোনও মেরামতি করা হয়নি ৷ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন স্থানীয় সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, স্থানীয় বিধায়ক নারায়ণ দাস, প্রাক্তন মন্ত্রী সুরেশ পাসওয়ান-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ৷
স্থানীয় সাংসদ জানান, দেওঘরে এনডিআরএফের একটি স্থায়ী ইউনিট রয়েছে। সেই কারণে ঘটনার খবর পেয়েই জেলা প্রশাসন এনডিআরএফ দল একসঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। 2015 সালেও দেওঘরে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তারপরে দেওঘরে এনডিআরএফ-এর একটি স্থায়ী ইউনিট সেখানে মোতায়েন করা হয়।