নয়াদিল্লি, 31 অগস্ট: দেশে মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের ঘটনা যে সমাজের একটি গুরুতর সমস্যা এবং উদ্বেগের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, তা স্বীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ শনিবার সকালে নয়াদিল্লিতে জেলার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলনে তিনি এমনটাই বলেন ৷ রাজধানীর ভারত মণ্ডপমে এই সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন, দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল এবং অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ৷
আরজি কর হাসপাতালে পড়ুয়া-চিকিৎসকের হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা চেয়ে আন্দোলন করছে চিকিৎসকরা ৷ এই ঘটনায় ধর্ষণ-বিরোধী কঠোর আইন চেয়ে দু'বার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের বাদলাপুরে নাবালিকা শিশুদের যৌন হেনস্তার খবর সামনে আসে ৷ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য ৷ এই ঘটনাগুলি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী ৷
দেশে নারী সুরক্ষায় আইন প্রসঙ্গে এদিনের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য দেশে অনেক কঠোর আইন আছে ৷ কিন্তু আমাদের সেগুলিকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে ৷ মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের মামলাগুলিতে যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তত বেশি করে দেশের জনগণ নিরাপদ বোধ করবে ৷"
দেশের বিচার ব্যবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের অবদান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থার সময়কালের কথা উল্লেখ করেন ৷ তিনি বলেন, "জরুরি অবস্থার মতো কালো সময়ে দেশের বিচার ব্যবস্থা মানুষের মৌলিক অধিকার টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ৷"
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের 75 বছর পূর্তি হচ্ছে ৷ এই যাত্রাপথ শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা নয়, এটা ভারতের সংবিধান এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের যাত্রা ৷ ভারত গণতন্ত্রের দিক দিয়ে আরও পরিণত হয়ে উঠেছে, এটা সেই যাত্রা ৷" গত 10 বছরে বিজেপি সরকারের আমলে 8 হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷