বেঙ্গালুরু, 17 নভেম্বর: ফোন সারিয়ে দেওয়ার বায়না, জেদের পরিণতি মৃত্যু ! ফোন সারানোর কথা বাবাকে বলতে গেলে এমনটা হবে তা কে জানত ! শুক্রবার বেঙ্গালুরুর ইয়ালাচেনাহল্লির বাসিন্দা বছর চোদ্দর কিশোর তেজসের মৃত্যু হল বাবার বেদম মারে ৷
ইয়ালাচেনাহল্লির বাসিন্দা রবিকুমারের ছেলে তেজস ফোন সারানোর আবদার নিয়ে যায় বাবার কাছে ৷ বাবা আপত্তি করতেই ফোন সারানো নিয়ে জেদ করতে থাকে বছর চোদ্দর কিশোর ৷ এই নিয়ে বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি শুরু হয় তার ৷ রেগে গিয়ে পাশে রাখা ক্রিকেট ব্যাট হাতে তুলে নিয়ে ছেলের মাথায় মারতে থাকে রবিকুমার ৷ এখানেই শেষ নয়, বেশ কয়েকবার দেয়ালে ছেলের মাথা ধরে ঠুকেও দেয় বাবা।
অভিযুক্ত বাবা (ইটিভি ভারত) বাবার মারের চোটে কিছুক্ষণের মধ্যে ছেলেটি জ্ঞান হারায় ৷ পরিবারের তরফে ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তারপরও বেশ কয়েক ঘণ্টা ওই কিশোর যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে ৷ কিন্তু, একটা সময়ে সব আর্তনাদ থেমে যায় ৷ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ শনিবার জানিয়েছে, রবিকুমার তার ছেলে তেজসকে একটি ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মারধর করে ৷ পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে গিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয় ৷ কিশোরের বাবা রবিকুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) লোকেশ বি জাগালাসার বলেন, "মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে ছেলে ও তার বাবা, মায়ের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত ৷ স্কুলে নিয়মিত না-যাওয়া নিয়েও বাড়িতে অসন্তোষ হত। বন্দুদের সঙ্গে মিশতে দেওয়া নিয়ে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকত ৷ তবে এদিনের ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল মোবাইল ফেন সারানো নিয়ে ৷ যেহেতু তার ফোন কাজ করছিল না, তাই সে তার বাবা-মাকে অনুরোধ করছিল তা সারিয়ে দেওয়ার জন্য় ৷ কিন্তু তারা রাজি হননি ৷ ঝগড়াঝাটি শুরু হয় ৷ তারপরই ছেলেকে মারতে শুরু করেন বাবা ৷ মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে ওই কিশোরের ৷"
এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে ৷ বাবা তখন তমদ্য়প অবস্থায় ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷ বাবা-মা গোপনে তাদের সন্তানকে পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন বলেও সন্দেহ তদন্তকারীদের একাংশের ৷