তিরুবনন্তপুরম, 21 ফেব্রুয়ারি: একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও বর্বরতার চরম নির্দশন ! স্ত্রীকে হাসপাতালে ভরতি না করে বাড়িতেই প্রসব করতে বাধ্য করলেন 'গুণধর' স্বামী ৷ এর জেরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয় প্রসূতির ৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সব চেষ্টা বৃথা যায় ৷ মৃত ঘোষণা করা হয় মা ও সন্তানকে ৷ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের কারাক্কামন্ডপমে ৷ পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে ।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সামিরা (36) ৷ তিনি পালাক্কাডের বাসিন্দা ৷ তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় পুনথুরার বাসিন্দা নয়সের ৷ যুবকের এটি দ্বিতীয় বিয়ে । স্বামীর সঙ্গে তিরুবনন্তপুরমের কারাক্কামন্ডপমে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সামিরা ৷ তাঁদের আগে দুই সন্তান রয়েছে । স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি, এর আগে নায়াস তাঁর বাচ্চাদের পোলিও টিকা দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। এরপরে আরও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেন। স্ত্রীকে বাড়িতেই প্রসব করতে জোর করেন ৷
সূত্রের খবর, সামিরাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভালো চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্তা ও চিকিৎসকরা বারবার অনুরোধ করেছিলেন । কিন্তু নায়াস জোর দিয়ে বলতে থাকেন, বাড়িতে সন্তান জন্ম দেওয়াই যথেষ্ট। পরে পুলিশ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলেও যুবক তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। মঙ্গলবার বিকেলে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় সামিরার। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণও হতে থাকে। অচেতন সামিরাকে কিলিপালমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, মা ও শিশুর ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে । স্থানীয়রা শামিরার মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে অভিযোগ করে বিস্তারিত তদন্ত দাবি করেছেন। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে দম্পতির বাড়িটি সিল করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
- আবার বিয়ে স্বামীর, সদ্যোজাত চতুর্থ সন্তানকে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে ধৃত মা
- সদ্যোজাত অষ্টম কন্যাকে বিক্রি মায়ের ! 'ক্রিমিনাল অফেন্স', তদন্তের আশ্বাস স্বাস্থ্য আধিকারিকের
- মহানগরের বুকে 30 হাজার টাকায় বিক্রি 23 দিনের সদ্যোজাত ! গ্রেফতার শিশুর দাদু-সহ 2