নয়াদিল্লি, 15 মার্চ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাষ্ট্রসংঘ এবং তালিবান বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাস্তবায়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় পালটা জবাব দিল দিল্লি ৷ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন যে, দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ সম্পর্কে এ রকম মতামত নির্ধারণ করা উচিত নয় ।
সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, "সিএএ বাস্তবায়নের বিষয়ে মার্কিন বিদেশ দফতরের বিবৃতি সম্পর্কে, আমরা মনে করি যে এটি ভুল ৷ ভুল তথ্য দেওয়া অযৌক্তিক ।" তিনি বলেছেন, ভারতের সংবিধান তার সব নাগরিকের ধর্মের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয় এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি কোনও উদ্বেগের কোনও ভিত্তি নেই ৷
মার্কিন বিদেশ দফতর 11 মার্চ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, তারা আইনটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে – কীভাবে আইনটি কার্যকর করা হবে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আইনের অধীনে সব সম্প্রদায়ের জন্য সমান আচরণ মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি ।
আমেরিকার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, "আপনি যেমন ভালোভাবে জানেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন 2019 ভারতের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি ভারতের অন্তর্ভুক্তিমূলক ঐতিহ্য ও মানবাধিকারের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি রক্ষা ৷ আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত যাঁরা 2014 সালের 31 ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছে তাঁদের আইনটি নিরাপদ আশ্রয় দেয় ।"
জয়সওয়াল আরও বলেন যে, আইনটি রাষ্ট্রহীনতার সমস্যা সমাধান করে, মানবিক মর্যাদা প্রদান করে এবং মানবাধিকারকে সমর্থন করে । সিএএ বাস্তবায়নের বিষয়ে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি এবং আরও কয়েকজন যে মন্তব্য করেছেন, আমরা মনে করি যে তা ভুল জায়গায়, ভুল তথ্য এবং তা অযৌক্তিক ।
আরও পড়ুন:
- সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুসলিম লিগ, শুনানি মঙ্গলে
- 'সিএএ নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান জনসমক্ষে স্পষ্ট করুন', রাহুলকে খোঁচা শাহের
- 'সংবিধানে রয়েছে, নাগরিকত্ব আইন কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়', সাফ বার্তা শাহের