নয়াদিল্লি, 3 জুন:মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পর এবার বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল মানছেন না সোনয়া গান্ধি। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির দাবি, এক্সিট পোলে যে ফল উঠে এসেছে, বাস্তবে তার ঠিক উলটো হতে চলেছে। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির জন্মশতবর্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সোমবার সকালে সোনিয়া বলেন, "আমরা ভীষণ আশাবাদী এক্সিট পোলে যে ফলাফলের কথা বলা হয়েছে তার ঠিক উলটো হতে চলেছে। আপনারা সকলে অপেক্ষা করুন। আর দেখুন কী হয়! "
অপেক্ষা করুন, এক্সিট পোলের ঠিক উলটো ফল হবে; আশাবাদী সোনিয়া - LOK SABHA ELECTION RESULT 2024
Sonia Gandhi Rejects Exit Polls: বিরোধী শিবিরের অন্য নেতাদের পর এবার এক্সিট পোলের বিরোধিতায় সবর হলেন সোনিয়া গান্ধি। রাজীব-জায়া মনে করেন, বুধ ফেরত সমীক্ষায় যে ফল উঠে এসেছে তার ঠিক বিপরীত হবে। তাঁর আগে একে একে মমতা থেকে শুরু করে কেজরিওয়ালরাও দাবি করেন, এক্সিট পোলের ফলাফল মিলবে না।
Published : Jun 3, 2024, 4:30 PM IST
এর আগে রবিবার এক্সিট পোল নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "এক্সিট পোল বাংলায় আমি 2016 সালেও দেখেছি । 2019 আর 2021 সালেও দেখেছি । একটি এক্সিট পোলও মেলেনি । এটা বিজেপি নিজে তৈরি করে এবং মিডিয়াকে দিয়ে দেয়। এই এক্সিট পোল তৈরি হয়েছিল দু'মাস আগে । একটা বিজেপির কোম্পানি এটা করেছে। আমি বিষয়টা জানি ৷ সবাই জানতে পারবেন। অভিষেক (তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) গোটা বিষয়টা বলবে । আমি পরিষ্কার করে একটা কথা বলতে চাই, এই এক্সিট পোলের কোনও মূল্য নেই ৷"
অন্যদিকে, জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার তিহার জেলে আত্মসমপর্ণের আগে এক্সিট পোলের ফলাফলকে ভুয়ো বলে অভিহিত করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাছাড়া সপ্তম দফা ভোট শেষ হওয়ার পরই শনিবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, 295টি আসন জিতবে বিরোধীদের জোট। পাশাপাশি ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এক্সিট পোলের বিরোধিতা করবে কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের সদস্য দলগুলি।
- ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকানোর দায় রাজ্যের, বললেন রাজীব কুমার
পাশাপাশি, দিল্লির অনুষ্ঠানে করুণানিধির জীবনের আদর্শের কথাও তুলে ধরেন সোনিয়া। তাঁর সঙ্গে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের কথাও উঠে আসে। সোনিয়ার কথায়, "ডিএমকে-র সহকর্মীদের সঙ্গে এখানে আসতে পেরে আমরা ভালো লাগছে। তাঁর (করুণানিধি) সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলার সুযোগ হয়েছে আমার। কথা থেকেই তাঁর অন্তর্নিহিত জ্ঞানের গভীরতা বোঝা যেত তিনি। তিনি যা যা বলেছিলেন তার অনেক কিছুই আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মনে রাখব।"