নয়াদিল্লি, 1 জুলাই: চোপড়ায় যুবক ও যুুবতীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিল বিজেপি ৷ মুখ খুললেন খোদ সভাপতি জেপি নাড্ডা ৷ এমনকী চোপড়ার ঘটনা নিয়ে এদিন সংসদে সরব হয়েছেন বিজেপির নবনির্বাচিত সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতও ৷ পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছে বিজেপি ৷
রবিবার চোপড়ায় জনসমক্ষে যুগলকে নির্মমভাবে মারধর করার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ আর সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে ৷ আর তার জেরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ৷ তিনি এক্স-হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো সামনে এসেছে ৷ তা মৌলবাদীদের বর্বরতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে ৷ দুর্ভাগ্য, তৃণমূলের ক্যাডার থেকে শুরু করে বিধায়করা এই বর্বরতাকে মান্যতা দিচ্ছেন।" নাড্ডা এর সঙ্গেই যোগ করেছেন, "সন্দেশখালি, উত্তর দিনাজপুর বা অন্য অনেক জায়গায় এমন ঘটনা ঘটছে ৷ আদতে দিদির পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়।"
জেপি নাড্ডার পাশাপাশি চোপড়ার ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতও ৷ এদিন লোকসভার বাইরে ইন্ডিয়া জোটকে খোঁচা দিয়ে কঙ্গনা বলেন, "এই ঘটনায় দেশে ক্ষোভ বাড়ছে। একজন মহিলাকে অভিযুক্ত করে শরিয়া আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ইন্ডিয়া জোটের অংশীদারদের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাই ৷ তাঁরা প্রতিদিন সংসদে সংবিধান হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করছেন ৷ প্রতিদিন নাটক করছেন ৷ এবার তাঁরাই বলুন, সংবিধানে কী লেখা আছে যে আপনি কোনও রাজ্যে শরিয়া আইন নির্বিচারে প্রয়োগ করতে পারবেন ? এর উত্তর রাহুল গান্ধির দেওয়া উচিত ৷ কারণ তৃণমূলও ইন্ডিয়া জোটের একটি অংশ ৷"