নয়াদিল্লি, 13 মে: চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে ইরানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত ৷ 10 বছরের জন্য এই চুক্তি করা হয়েছে । বন্দর, নৌপরিবহণ ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের উপস্থিতিতে ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড এবং ইরানের পোর্টস অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের সঙ্গে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে । ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের এমনটাই সোশাব মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছে ৷
চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা চাবাহারে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছি । এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে চাবাহার বন্দরের কার্যকারিতা এবং দৃশ্যমানতার উপর ভালো প্রভাব পড়বে । চাবাহার শুধু ভারতের সবচেয়ে কাছের ইরানি বন্দরই নয়, সামুদ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি একটি চমৎকার বন্দর ।" সোনোওয়াল তাঁর ইরানি প্রতিনিধির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন । এই প্রথম বিদেশের কোনও বন্দরের সামগ্রিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে নজির গড়তে চলেছে ভারত ।
চাবাহার বন্দর আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া এবং ইউরেশিয়ানে বিস্তৃত ৷ ভারতের যোগাযোগের অন্যতম ক্ষেত্র এটি ৷ এই চুক্তির ফলে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর এবং চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের উপর নির্ভরশীলতা কমার সম্ভবনা রয়েছে । পাকিস্তানের উপর নির্ভর না করে আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ায় ভারতের প্রবেশের সুবিধার্থে চাবাহারকে আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডোর হিসাবে ব্যবহার করা হবে ।
ইরানের চাবাহার বন্দর পাকিস্তানকে বাইপাস করে আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতের সংযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পথ হয়ে উঠবে । এই চুক্তি ভারত ও ইরানের মধ্যে বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও নিবিঢ় । এটি লক্ষণীয় যে, বিদেশ মন্ত্রক বঙ্গোপসাগরের মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরে অপারেশনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এপ্রিল মাসে ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবালের একটি প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছিল । সোনোওয়ালের ইরান সফর এই সময়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে এসেছে ৷
চাবাহার বন্দর কেন ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?