নয়াদিল্লি, 18 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যালে পড়ুয়া চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ ৷ ডাক্তার, নার্সিং কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন ৷ এবার সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত রাজ্যের পুলিশকে প্রতি দু'ঘণ্টা অন্তর পরিস্থিতির রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সব রাজ্যের পুলিশকে নোটিশ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সেই নির্দেশিকায় বলে হয়েছে, "এখন থেকে, এই বিষয়ে একটানা দু'ঘণ্টা অন্তর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির রিপোর্ট পাঠাতে হবে ৷ আজ বিকাল চারটে থেকে ফ্যাক্স, ইমেল অথবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কন্ট্রোল রুমে পাঠাতে হবে ৷" স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যগুলির পুলিশ বাহিনীকে ফ্যাক্স, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর এবং ইমেল আইডিও দিয়েছে ৷
গত 9 অগস্ট, কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় একজন স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পর দিন কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়। মঙ্গলবার মামলাটি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই প্রতিবাদে সোচ্চার হয় গোটা রাজ্য ৷ প্রতিবাদের ঝড় ওঠে অন্য়ান্য রাজ্যগুলিতেও ৷ লাগাতার ধর্মঘট, বিক্ষোভ দেখান চিকিৎসকরাও ৷ এরই মাঝে এই ঘটনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন বুধবার মধ্যরাতে একদল দুষ্কৃতী আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে নির্বিচারে ভাঙচুর চালায় ৷
দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসক ও অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীরাও এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসা রোধ করার জন্য কেন্দ্রের কড়া আইনের জন্যও চাপ দিচ্ছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ একই সঙ্গে তাদের নিরাপত্তারও দাবি তুলেছেন তাঁরা ৷ ডাক্তারদের এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি থেকে আমজনতাও ৷