নয়াদিল্লি, 10 জানুয়ারি: আসন্ন জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় কারা বসতে পারবেন তা নিয়ে জটিলতার অবসান। গতবছর 5 নভেম্বর থেকে 18 নভেম্বরের মধ্যে কোর্স ড্রপআউটরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট ৷ একাংশের পড়ুয়ার আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷
জটিলতার মূলে ছিল জয়েন্টের আয়োজক সংস্থার একটি নির্দেশ। কয়েকদিন আগে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে বসার সুযোগ তিনবার থেকে দু'বারে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় পরীক্ষায় আয়োজক জয়েন্ট অ্যাডমিশন বোর্ড (জেএবি)। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ ৷ তারই প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ শীর্ষ আদালতের ৷
এদিন পড়ুয়াদের আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ'র বেঞ্চ ৷ শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রথমে তিনটি প্রচেষ্টা অনুমোদন করা হয়েছিল, কিন্তু মাত্র 13 দিনের মধ্যে তা প্রত্যাহার করা হয়। এটি একেবারেই অন্যায্য। 2024 সালের 5 নভেম্বর জেএবি একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । বলেছিল, এবারের পরীক্ষায় 2023, 2024 এবং 2025 সালের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বসতে পারবেন। 18 তারিখ জেএবি জানায়, আগের সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছে । 2023 সালের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। এই দুটি সিদ্ধান্তের মধ্যে কেউ কেউ জয়েন্টের কোর্স থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন । এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে যদি কোনও শিক্ষার্থী নিজের কোর্স থেকে ড্রপআউট করে থাকেন তার দায় জেএবি-র নয়।
আদালত আরও জানিয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে, জেএবি-র সিদ্ধান্তের গুণগত মান নিয়ে মন্তব্য না-করেও, 5 থেকে 18 নভেম্বর, 2024-এর মধ্যে ড্রপআউট করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, 5 নভেম্বর, 2024-এ জেএবি ঘোষণা করেছিল, শিক্ষার্থীরা জেইই (অ্যাডভান্সড)-এ তিনবার বসতে পারবে। কিন্তু 13 দিন পর, 18 নভেম্বর, 2024-এ সেই সিদ্ধান্ত বদলে প্রচেষ্টার সংখ্যা দুই-এ নামিয়ে আনা হয়। এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ৷
শুনানির অন্য একটি প্রসঙ্গে বেঞ্চের বক্তব্য, কর্তৃপক্ষের বুদ্ধিমত্তার উপর কোনও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না। যদি কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণে প্রচেষ্টার সীমা তিন বছর থেকে দুই বছরে কমানো হয়ে থাকে, তবে তাতে কোনও ভুল নেই। সবমিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এইএই রায়ে পরীক্ষার্থীদের আংশিক স্বস্তি যে মিলল তা বলাই যায়।