নয়াদিল্লি, 8 জুন:জুলাইয়ের ভরা বর্ষায় নাজেহাল ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য ৷ বিশেষত, মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলা ৷ রবিবার থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাণিজ্যনগরীর জনজীবন ৷ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় জমা জলের কারণে বেজায় সমস্যায় পড়েছে মানুষজন ৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, কোনও কোনও রাস্তায় বুক সমান জল উঠে গিয়েছে ৷
মহারাষ্ট্র-সহ পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে ৷ বিশেষত, মহারাষ্ট্রের মুম্বই, পুণে-সহ বেশ কয়েকটি শহরে ৷ সেই সঙ্গে মুম্বইয়ের ব্যস্ত লোকাল ট্রেন সোমবার বৃষ্টির কারণে খুবই ধীর গতিতে চলেছে ৷ রেললাইনে জল জমে যাওয়ায় পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে এগোচ্ছে ৷ একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে রেল ৷ তবে, পরিস্থিতি খারাপের দিকে উত্তরের পাহাড়ি রাজ্য উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশেও ৷ সেখানেও লাগাতার বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীগুলি ফুলেফেঁপে উঠেছে ৷
এমনকী মরুভূমির রাজ্য রাজস্থানেও ভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল মানুষজন ৷ রাজস্থানে জমা জলের সমস্যা না-থাকলেও, বর্ষা প্রবেশের পর থেকে লাগাতার বৃষ্টি হয়েই চলেছে ৷ ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে ৷ অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অসমের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগোচ্ছে ৷ এদিন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি অসমের কাছার জেলায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ৷ সেখানে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল ৷ সরকারের কাছে বন্যা বিধ্বস্তদের ত্রাণ ও জরুরি পরিষেবা বাড়ানোর আর্জি জানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি ৷
অসমের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভয়াবহ ৷ জেলায় কমপক্ষে 60 জনের প্রাণ গিয়েছে ৷ 53 হাজারের উপর মানুষ আশ্রয়হীন হয়েছেন ৷ নিখোঁজের সংখ্যা এখনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না প্রশাসন ৷ 19টি জেলার 24 লক্ষ মানুষ এই ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৷ কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কে 131টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বন্যায় ৷ তবে, বন্যায় ভেসে যাওয়া 96টি প্রাণীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে জীবজন্তুর মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ গতকালই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ৷