গুয়াহাটি, 23 জানুয়ারি:কামাখ্যা মন্দির চত্বরে ইডি ৷ আর্থিক তছরূপের মামলায় কামাখ্যা দেবোত্তর বোর্ডে অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে ইডির তরফে ৷ মন্দির চত্বরেই এই বোর্ডের অফিস। পাশাপাশি বোর্ডের আধিকারিকরাও এখানেই থাকেন। সেখানেই তল্লাশি চলেছে।
2022 সালের একটি আর্থিক তছরূপের মামলায় অভিযান চালানো হয় এদিন ৷ 2003 থেকে 2019 সাল পর্যন্ত আনুমানিক 7.62 কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ ওঠে দেবোত্তর বোর্ডের তৎকালীন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৷ সেই অভিযোগেই এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে ৷ গুয়াহাটিতে মা কামাখ্যা মন্দির পরিচালনা করে এই বোর্ড ৷ তল্লাশি চালিয়ে 1.82 কোটি টাকার বিমার নথি বাজেয়াপ্ত করে ইডি ৷ বিমা পলিসিগুলি দেবোত্তর বোর্ডের কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে ৷
বিবৃতিতে ইডি আরও জানিয়েছে, কামাখ্যা দেবোত্তর বোর্ডের আধিকারিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পত্তি, ব্যবসায়িক সত্ত্বা সম্পর্কিত নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ এছাড়াও তল্লাশির সময় বিভিন্ন ব্যক্তির 27টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ অসম সিআইডির বিভিন্ন ধারায় নথিভুক্ত এফআইআরের ভিত্তিতে আরও তদন্ত চলছে ৷
আরও জানানো হয়েছে, মন্দিরের তহবিল থেকে বেআইনিভাবে টাকা নিয়ে তা বৈদ্যুতিক পণ্য, সিমেন্ট, ক্লিনিং রাসায়নিক, জনশক্তি ও অন্যান্য পরিষেবার উপকরণ সরবরাহের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করা হয় ৷ তারপর তহবিলের টাকা মালিকানাধীন সংস্থাগুলিতে স্থানান্তর করা হয়েছিল বা নগদে দেওয়া হয়েছিল ৷ সন্দেহ এড়াতে খুব সতর্কতার সঙ্গে আধিকারিকরা বিলগুলির অঙ্ক 50 হাজার টাকার নীচে রেখেছিলেন ৷ যাতে কামরূপের জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া বড় অঙ্কের খরচ নিষিদ্ধ করে আদালতের নির্দেশ মেনে চলা যায় ৷
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বুধবার ইডি তৎকালীন কামাখ্যা দেবোত্তর বোর্ডের প্রশাসক রিজু প্রসাদ শর্মা আবাসন প্রাঙ্গণে তল্লাশি চালায় ৷ তৎকালীন বোর্ডের আধিকারিক প্রয়াত ধীরাজ শর্মা ও নবকান্ত শর্মা কামাখ্যা মন্দিরের এই আর্থিক তছরূপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে ইডির অনুমান ৷