আমেদাবাদ, 28 এপ্রিল:পাকিস্তানের নৌকা থেকে 600 কোটির মাদক উদ্ধার করল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। বাহিনীর তরফে রবিবার বলা হয়, শনিবার সারারাত অভিযান চালিয়ে গুজরাত উপকূল থেকে 86 কিলো নিষিদ্ধ মাদক আটক করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ মাদকের বাজারমূল্য মোটামুটি 600 কোটি টাকা। পাশাপাশি, এই ঘটনায় 14 জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
একটি বিবৃতিতে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে অভিযানের বিষয় বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই অভিযানে বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন এনসিবি'র আধিকারিকরাও। আরও জানা গিয়েছে, জলপথে বিপুল পরিমাণে মাদক পাচার হতে পারে বলে আগে থেকেই তাঁদের খবর ছিল। সেই মতো তৈরি ছিলেন বাহিনীর জওয়ানরা।
উদ্ধার হওয়া মাদক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি উপকূলপক্ষী বাহিনী। তবে সেগুলি যে পাকিস্তান থেকে এ দেশে নিয়ে আসা হয়েছিল তা জানানো হয়েছে। বাহিনীর জাহাজ ছাড়াও এই অভিযান যাতে সবদিক থেকে সফল হতে পারে তা নিশ্চিত করতে বিমানেরও ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। এনসিবি'র আধিকারিকদের দায়িত্ব ছিল মাদকটি কোন ধরনের তা চিহ্নিত করা।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের এই নৌকাটি বিপদ বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে উপকূলরক্ষী বাহিনী সম্পূর্ণ তৈরি থাকায় কাজের কাজ হয়নি। বাহিনীর জওয়ানদের সদাসতর্ক নজর থেকে পাকিস্তানের নৌকা রেহাই পায়নি । তল্লাশির পর সেখান থেকে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়।
ধৃতদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলতে শুরু করেছেন এনসিবির আধিকারিকরা। তারা কোথা থেকে এই মাদক নিয়ে এসেছিল এবং কোথায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মাদকপাচার চক্রের সঙ্গে ধৃতদের যোগ খতিয়ে দেখার কাজও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মাদকগুলিও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও জলপথকে ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ মাদকপাচারের কারবার চলেছে রমরমিয়ে । কখনও কখনও পাচার রুখেও দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। ধৃতদের জেরা করে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেভাবেই আবারও ধরা পড়ল বিপুল পরিমাণ মাদক। 14 জনকে গ্রেফতারও করা হল। এদের থেকে কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন:
- গুজরাত উপকূলে 3 হাজার কেজিরও বেশি মাদক উদ্ধার, 'ঐতিহাসিক সাফল্য', বললেন শাহ
- দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে 3200 কোটি টাকার এমডি মাদক বাজেয়াপ্ত করল পুনে পুলিশ