বেঙ্গালুরু, 30 এপ্রিল:কথায় বলে,'কুসন্তান যদিও হয় কুমাতা কভু নয়।' তবে সাম্প্রতিকালে বারবার ধাক্কা খেয়েছে এই বিশ্বাস। মানুষের চরিত্রের ভয়ঙ্কর দিকটা প্রকট হয়েছে বহুবার। স্বজনের রক্তে ভিজেছে স্বজনের শরীর। তবু পরিবর্তন আসে না। একই ধরনের একাধিক ঘটনায় দীর্ণ হয় সমাজ জীবন। এমনই এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটল দেশের তথ্যপ্রযুক্তি হাবে।
দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ভালো ফল করেনি মেয়ে ৷ সেই নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্যে তুমুল বচসা হয় ৷ ঘটনায় শেষমেশ প্রাণ গেল ছাত্রীর ৷ মায়ের ছুরির আঘাতে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ মৃতের নাম সাহিত্যি (19) ৷ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন মা পদ্মজাও ৷ তিনি আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর বনশঙ্করি থানা এলাকায় ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দ্বিতীয় পিইউসি বা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল ঘোষণা হয়েছিল সাহিত্যির ৷ মা পদ্মজা তাঁর মেয়ের পিইউসি রেজাল্টে সন্তুষ্ট ছিলেন না ৷ কারণ সাহিত্যি দুটি বিষয়ে পরীক্ষা দেয়নি। তাই সে পরীক্ষায় ফেল করে । পিইউসি রেজাল্ট নিয়েই মা মেয়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত । সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে একই বিষয় নিয়ে দু'জনের মধ্যে আবারও ঝামেলা বাধে ৷ এমনকী হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় । শেষমেশ তা চরম আকার নেয়। একে অপরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে বসেন মা-মেয়ে ।
ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বাড়িতেই মৃত্যু হয় সাহিত্যির । পদ্মজাও মেয়ের করা আঘাতে গুরুতর জখম হন ৷ তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করা হয় । বেঙ্গালুরু দক্ষিণ বিভাগের ডিসিপি লোকেশ ভরমাপ্পা জাগলসার জানিয়েছেন, বনশঙ্করি থানার পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে ৷ ঘটনায় মৃতের মায়ের বয়না রেকর্ড করা হবে ৷ তাঁর বর্তমানে চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে ৷ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে সাহিত্যির দেহ ৷ রিপোর্ট আসতেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ৷
আরও পড়ুন:
- ফের কোটায় নিট পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা, চার মাসে 6 পড়ুয়ার মৃত্য়ু
- বিয়ের প্রস্তাব ফেরানোয় নাবালিকার গালে গরম লোহার রড দিয়ে নিজের নাম লিখল 'প্রেমিক'
- বাবা ও সৎ মাকে খুনের সুপারি ছেলের, পরিবর্তে প্রাণ গেল ভাই-সহ আত্মীয়দের