আগরতলা, 21 জুলাই:প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার জেরে সতর্ক বিএসএফও ৷ যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সতর্ক রয়েছে বলে রবিবার জানালেন বিএসএফ-এর এক শীর্ষ কর্তা ৷
বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনে 100 জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যে ৷ অস্থির পরিস্থিতি মোকাবিলায় সে দেশের সরকারকে কারফিউ জারি করতে হয়েছে ৷ এই অবস্থায় বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার আইজি পুরুষোত্তম দাস বলেন, "বাংলাদেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিএসএফের জন্যও অবশ্যই নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ ৷ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের ৷ আমরা পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছি ৷ যাতে বর্তমান পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে আসা কেউ আচমকা কোনও আক্রমণ চালাতে না পারে।"
তিনি আরও বলেন, "উচ্চ পর্যায়ের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে বিপুল পরিমাণে সেনা এবং সব সিনিয়র কমান্ডারকে সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। বিএসএফ আমাদের দেশের সীমানা সুরক্ষিত করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ যে কোনও জরুরি অবস্থা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত ৷"
আইজি পুরুষোত্তম দাস বলেন, "এখন প্রধান উদ্বেগের মধ্যে একটি হল বাংলাদেশে পড়ছে এমন ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা ৷" বাংলাদেশে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় 8 হাজার বলে জানা গিয়েছে ৷ তাদের বেশিরভাগই মেডিক্যাল পড়ুয়া ৷ বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ঢাকার মেডিক্যাল কলেজে পড়ছে ৷ তার মধ্যে অনেকেই ত্রিপুরা হয়ে ভারতে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিএসএফ জানিয়েছে ৷
বাংলাদেশে পড়ুয়ার মধ্যে 66 জন নেপালি-সহ মোট 314 জন শিক্ষার্থী রবিবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ 19 এবং 20 জুলাই তারিখে 379 জন শিক্ষার্থী প্রতিবেশী দেশ থেকে এসেছে ৷ মোট 693 জন শিক্ষার্থীকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর।
এদিন বিএসএফ-এর আইজি শিক্ষার্থীদের ভারতে নিয়ে আসায় সহযোগিতা করার জন্য বিজিবিকে (বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ) ধন্যবাদও জানান। তাঁর কথায়, "আমি বিজিবির কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, যাঁরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেও আগরতলা পর্যন্ত পরিবহণ এবং নিরাপদ যাত্রাপথ ছাত্রদের জন্য সুনিশ্চিত করেছে ৷ এই সবকিছুই নির্বিঘ্নে এবং খুব পেশাদার পদ্ধতিতে করা হয়েছ ৷ এটি বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে সহযোগিতা এবং সুসম্পর্কের একটি অন্যতম প্রমাণ ৷" (পিটিআই)