খুন্তি (ঝাড়খণ্ড), 24 ফেব্রুয়ারি: বিয়ে বাড়ি দেখে ফেরার পথে পাঁচ আদিবাসী নাবালিকার পিছু নেওয়া শুরু করে একদল নাবালক ৷ নির্জন এলাকা আসতেই তাদের ঘিরে ফেলা হয় ৷ 18 নাবালক মিলে ওই পাঁচ নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷ এ ঘটনা কাউকে বললে, তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় ৷ গত শুক্রবার ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের খুন্তি এলাকায় ৷
তদন্তে নেমে পুলিশ সোমবার ওই 18 নাবালককে আটক করেছে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 21 ফেব্রুয়ারি খুন্তি জেলার রানিয়া থানা এলাকায় এই গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। যে পাঁচজন আদিবাসী নাবালিকাদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে, তারা নাবালকদের চিনত ৷ বিয়ে বাড়িতে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথোপকথনও হয় ৷ আর ওই বিয়ে বাড়িও তাদের চেনা পরিচিতদের মধ্যেই ছিল ৷ ঘটনার পর নাবালিকাদের প্রাণে মারার হুমকি দেয় নাবালকরা ৷ তারপরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা ৷
আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ কাণ্ডে কী বলছেন খুন্তি থানার এসপি (ইটিভি ভারত) পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার পর নাবালিকারা কোনওভাবে বাড়ি পৌঁছয় ৷ তাদের অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয় ৷ তখনই নাবালিককারা তাদের বাড়িতে সমস্ত ঘটনার কথা খুলে জানায় ৷ শনিবার তাদের পরিবারের সদস্যরা থানায় পৌঁছন এবং নাবালিকা মেয়েদের বক্তব্য অনুসারে, পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করে ৷ এরপরই শুরু হয় তদন্ত ৷ এএসপি ক্রিস্টোফার কেরকেট্টার নেতৃত্বে একটি সিট গঠন করা হয়। তদন্তে নেমে আজ এই গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে 18 নাবালককে আটক করা হয় ৷ তাদের এদিনই আদালতে পেশ করা হলে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয় ৷
খুন্তি থানার এসপি অমন কুমার বলেন, "পাঁচ জন নাবালিকার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৷ তারা বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিল ৷ এই ঘটনায় জড়িত 18 নাবালককে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী তদন্ত চলছে ৷"