ETV Bharat / bharat

'حکومت کو غلط اعداد و شمار نہیں دینے کا مشورہ دیا تھا'

کانگریس نے کہا کہ اقتصادی ترقی پر غلط اعداد و شمار دینا معیشت کے لیے ٹھیک نہیں ہے اور یہی مشورہ نوبل انعام سے نوازے گئے ابھیجیت بنرجی سمیت 108ماہر اقتصادیات نے حکومت کو چھ مہینہ پہلے دیا تھا۔

حکومت کو غلط اعداد و شمار نہیں دینے کا مشورہ دیا تھا
author img

By

Published : Oct 15, 2019, 10:20 PM IST

Updated : Oct 16, 2019, 7:05 AM IST

کانگریس کے ترجمان منیش تیواری نے منگل کے روز یہاں پریس کانفرنس میں کہا کہ غلط اعداد و شمار دینا معیشت کے لیے خطرناک ہے لیکن مودی حکومت مسلسل فرضی اعداد و شمار دیکر واہ واہی لوٹنے کی کوشش کرتی رہی ہے۔

انہوں نے کہا کہ اسی حالت کے پیش نظر ابھیجیت بنرجی سمیت 108ماہر اقتصادیات نے وزیراعظم نریندر مودی کو مارچ میں خط لکھ کر کہا تھا کہ غلط اعداد و شمار دیئے جا رہے ہیں۔

انہوں نے مزید کہا کہ معیشت کے تعلق سے حکومت کسی اور کی سنتی نہیں ہے اور نہ ہی مشورہ لینے کی کوشش کرتی ہے۔ حکومت جب ماہر اقتصادیات کی بات سننے سے انکار کرے گی اور من مانی کرتے ہوئے معیشت کو پٹری پر لانے کی کوشش نہیں کرے گی تو بہتری کہاں سے آئے گی۔

سابق وزیر خزانہ پی چدمبرم کو بغیر مقدمہ چلائے جیل میں بند کردیا گیا۔ یہ وہی چدمبرم ہیں جن کے وزیر خزانہ رہتے ملک کی معیشت ساڑھے آٹھ سے نو فیصد تک پہنچ گئی تھی۔

کانگریس ترجمان منیش تیواری نے کہا کہ ملک میں خوف کا ماحول ہے اور لوگوں کو بھروسہ نہیں ہے کہ بینکوں میں رکھا ان کا پیسہ محفوظ ہے۔ اس کی وجہ یہ ہے کہ تمام بینک لاکھوں کروڑوں روپے کے این پی اے کو بٹا کھاتہ میں ڈال رہے ہیں اور اس کی واپسی کے لیے کوئی کوشش نہیں کی جارہی ہے۔ پنجاب اینڈ مہاراشٹر کوآپریٹیو بینک کا معاملہ سب کے سامنے ہے۔ سرمایہ کاروں کو کہیں پر بھی بھروسہ نہیں ہے۔

انہوں نے مزید کہا کہ معیشت میں بہتری کے لیے ٹھوس کوششیں کرنی پڑتی ہیں۔

انہوں نے بھارتیہ جنتا پارٹی حکومت پر سخت زبانی حملہ کرتے ہوئے کہا کہ فرقہ وارانہ کشیدگی کی صورتحال اور شرح نمو بیک وقت نہیں بڑھ سکتیں۔ انہوں نے کہا کہ اگر کساد بازاری کے دوران مہنگائی کی شرح میں اضافہ ہوتا ہے تو معاشی صورتحال مزید پیچیدہ ہوجاتی ہے۔

کانگریس کے ترجمان منیش تیواری نے منگل کے روز یہاں پریس کانفرنس میں کہا کہ غلط اعداد و شمار دینا معیشت کے لیے خطرناک ہے لیکن مودی حکومت مسلسل فرضی اعداد و شمار دیکر واہ واہی لوٹنے کی کوشش کرتی رہی ہے۔

انہوں نے کہا کہ اسی حالت کے پیش نظر ابھیجیت بنرجی سمیت 108ماہر اقتصادیات نے وزیراعظم نریندر مودی کو مارچ میں خط لکھ کر کہا تھا کہ غلط اعداد و شمار دیئے جا رہے ہیں۔

انہوں نے مزید کہا کہ معیشت کے تعلق سے حکومت کسی اور کی سنتی نہیں ہے اور نہ ہی مشورہ لینے کی کوشش کرتی ہے۔ حکومت جب ماہر اقتصادیات کی بات سننے سے انکار کرے گی اور من مانی کرتے ہوئے معیشت کو پٹری پر لانے کی کوشش نہیں کرے گی تو بہتری کہاں سے آئے گی۔

سابق وزیر خزانہ پی چدمبرم کو بغیر مقدمہ چلائے جیل میں بند کردیا گیا۔ یہ وہی چدمبرم ہیں جن کے وزیر خزانہ رہتے ملک کی معیشت ساڑھے آٹھ سے نو فیصد تک پہنچ گئی تھی۔

کانگریس ترجمان منیش تیواری نے کہا کہ ملک میں خوف کا ماحول ہے اور لوگوں کو بھروسہ نہیں ہے کہ بینکوں میں رکھا ان کا پیسہ محفوظ ہے۔ اس کی وجہ یہ ہے کہ تمام بینک لاکھوں کروڑوں روپے کے این پی اے کو بٹا کھاتہ میں ڈال رہے ہیں اور اس کی واپسی کے لیے کوئی کوشش نہیں کی جارہی ہے۔ پنجاب اینڈ مہاراشٹر کوآپریٹیو بینک کا معاملہ سب کے سامنے ہے۔ سرمایہ کاروں کو کہیں پر بھی بھروسہ نہیں ہے۔

انہوں نے مزید کہا کہ معیشت میں بہتری کے لیے ٹھوس کوششیں کرنی پڑتی ہیں۔

انہوں نے بھارتیہ جنتا پارٹی حکومت پر سخت زبانی حملہ کرتے ہوئے کہا کہ فرقہ وارانہ کشیدگی کی صورتحال اور شرح نمو بیک وقت نہیں بڑھ سکتیں۔ انہوں نے کہا کہ اگر کساد بازاری کے دوران مہنگائی کی شرح میں اضافہ ہوتا ہے تو معاشی صورتحال مزید پیچیدہ ہوجاتی ہے۔

Intro:কলকাতা, 15 অক্টোবর: এবার কার্নিভালকে নিয়ে রাজ‍্য রাজ্যপাল সংঘাত সামনে এল। রাজ‍্যপালের বক্তব্য, কার্নিভালে ডেকে, চার ঘন্টা বসিয়ে রেখে অপমান করা হয়েছে তাঁকে। পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক রাজ‍্য। সেখানে তার সঙ্গে আনকালচারড ব‍্যবহার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় তিনি গভীরভাবে ব‍্যাথিত বলে মন্তব্য করেছেন। কে বা কাঁরা এটা করেছে তা খুঁজে বের করতে সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল।


Body:আজ সস্ত্রীক ন্যাশনাল লাইব্রেরি পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেখানেই তিনি বলেন, " আমি আমার ব্যথিত হৃদয় দিয়ে বলছি, 11 অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের মানুষজনেরা আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছে। তাঁরা তাঁদের সব থেকে ভালোটা করেছে এবং সারা বিশ্ব সেটা উপভোগ করেছে। আমি তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে এপ্রিসিয়েট করেছি এবং বহু প্যান্ডেল পরিদর্শন করেছি। যেটা আমায় এবং আমার হৃদয়কে গভীরভাবে ব‍্যাথিত করেছে, তা হল আমার সঙ্গে যে ব‍্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যবহারের তিনটি ভাগ ছিল। প্রথমত, চার ঘন্টার বেশি সময় আমি ওখানে ছিলাম এবং অফিস সার্ভেন্ট পুরো ব্ল্যাকআউট ছিল। এটা একটা লক্ষণীয় সেন্সরশিপ। কী করে তুমি এই পদে থাকা একজনকে ব্ল্যাক আউট করতে পার, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর পরে। এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও শোনা যায়নি। এটা অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।" তারসঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর মিডিয়া কেন তিনদিন চুপ ছিল, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "একজন আমায় ফোন করে বলেন, স্যার এটা জরুরি অবস্থার সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। তখন মিডিয়া সামনে এগিয়ে এসেছিল। আমি আমার মিডিয়া বন্ধুদের অনুরোধ করব, কেন আপনারা তিন দিন চুপ ছিলেন? যখন সারা বিশ্ব এটা দেখছিল, বহু মানুষ আমায় ফোন করছিল, সংসদের সদস্যরা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছিল। তাঁরা তাঁদের গভীর বেদনা এক্সপ্রেস করছিল। কিন্তু যদি মিডিয়া তার শিরদাঁড়া সোজা না করে, তাহলে গণতান্ত্রিক শাসনের জন্য এটা দুঃখের দিন হয়ে উঠবে। তাই আমি মিডিয়াকে বলছি, আমার কঠোরভাবে সমালোচনা কর, যত কঠোরভাবে ইচ্ছা তত কঠোরভাবে সমালোচনা কর। কিন্তু, অন্যদেরও সমালোচনা কর।" আপনাকে কী ব‍্যাক আউট করা হয়েছিল? রাজ‍্যপাল বলেন, " আমি জানি না। ওনাদের জিজ্ঞেস করুন। পুরো বিশ্ব দেখেছে। চার ঘন্টার মধ্যে এক সেকেন্ডের জন্যও টেলিভিশনে অফিস সার্ভেন্টের মুখ দেখানো হল না। আমি আনটাচেবল নই। তা সত্ত্বেও এই ধরনের ইনটলারেন্স সহ্য করা যায় না। এটা আপনাদের খুঁজে বের করার বিষয়। আমি এটা করিনি। আমি সাফার করেছি। অনেক লাইভ ইভেন্ট ছিল ওখানে। কিন্তু, আমি আমার একটাও লাইভ ইভেন্ট দেখতে পাইনি। ভিডিও কভারেজ দেখলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে।" কার্নিভালে সংবাদমাধ্যমকে ভিডিও ফিড দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যা একটা আউটসোর্সিং ফিড। আপনি কি মনে করেন আপনার জন্য একটা আলাদা পোডিয়াম তৈরি করা উচিত ছিল? রাজ‍্যপাল বলেন, " আমি শুধু বলছি যেটা হয়েছে তাতে আমায় লজ্জা দেওয়া হয়েছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের কোনও মানুষ এটা সমর্থন করবে না। যদি আমি ব্যথিত হই, তাঁরাও ব্যথিত হবে। শুধু আলাদা পোডিয়াম নয়। দেখুন তাঁরা আমার জন্য কী বানিয়েছিল। হোমওয়ার্ক করুন, তদন্ত করুন, জেনে যাবেন কী করা হয়েছে। এটা করা উচিত হয়নি। আমরা যে দেশে বাস করি সেখানে 'অতিথি দেব ভব'। আমার হৃদয়ের এই আঘাতটা থেকে রিকভার করতে তিনদিন সময় লেগেছে।" রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আরও বলেন, " আমি মনে করি, বিশ্বের মধ‍্যে সাংস্কৃতিক ফাউন্টেন হল বাংলা। যদি তাঁরা এইরকম আনকালচার্ড ব্যবহার করে। আমি জানি না কেন তাঁরা এটা করল, কে করল। আমি মনে করি, এটা হয় তাঁরা এক্সপ্লেন করবে, না হয় মিডিয়া খুঁজে বার করবে। আমি কি হাতজোড় করে মিডিয়ার সাইলেন্স অনুরোধ করতে পারি? এটাও আমার কাছে অত‍্যন্ত বেদনার ছিল।" এই ব্যাথিত হওয়ার বিষয় জানিয়ে রাজ্য সরকারকে কি কোনও চিঠি দেবেন? রাজ‍্যপাল বলেন, "না। আমি দেব না। আমি আমার ইগো বা প্রটোকলের কেয়ার করি না। আমি তার থেকে বেশি কেয়ার করি আমার পদের, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি আমার যে ভালোবাসা আছে তার। চার ঘন্টা ধরে এই পদে থাকা মানুষকে ব্ল‍্যাক আউট করে রাখা। আমি নিশ্চিত যে, কেউ এটার সমর্থন করবে না‌।"


Conclusion:
Last Updated : Oct 16, 2019, 7:05 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.