জলপাইগুড়ি, 6 সেপ্টেম্বর: এবার পুজোয় মন প্রাণ জুড়োতে ঘুরে আসুন মাঝগ্রাম চাবাড়ি। এই মাঝগ্রামের আশাপাশে রয়েছে চা-বাগান আর তার মাঝেই গড়ে উঠেছে আপনাদের অফ-বিট ডেস্টিনেশন চাবাড়ি। শুনলে অবাক হবেন, চাবাড়িতে থাকার জন্যই দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসছেন। তাই এবার পুজোয় আর কিছু চিন্তা-ভাবনা না-করে ঝটপট ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন জলপাইগুড়ি ক্রান্তি ব্লকের এই চাবাড়িতে ৷
ক্রান্তি ব্লকের এই মাঝগ্রাম জায়গাটি নিউ জলপাইগুড়ি, মালবাজার বা শহর জলপাইগুড়ির দূরত্ব একই। লাটাগুড়ি থেকে বা গাজোলডোবা থেকে মাত্র 11 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মাঝগ্রাম।
কেন চাবাড়ি'ই যাবেন?
- এখানে থাকার প্রতিটি রুমেই এসি রয়েছে। ঝাঁ-চকচকে রুমগুলো সবই কাঠের ডিজাইন করা। জানালা খুললেই চা-বাগান আর ফ্যাক্টরিতে চা তৈরির গন্ধ আপনি পাবেন। সবুজে ঘেরা চা-বাগানের মাঝে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে থাকা অনেকেই পছন্দ করেন। সঙ্গে বোনাস হিসাবে থাকছে পাখির ডাক। ফলে যাঁরা পাখির ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য মাঝগ্রাম একটি আদর্শ জায়গা। ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালেই কাঞ্চনজঙ্ঘার ঝলকও রয়েছে সঙ্গে। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য স্থানীয় শিল্পীরা গানবাজনা করেন। ক্যাম্প ফায়ার করে স্থানীয় রাজবংশী শিল্পীদের সংস্কৃতিও উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।
কীভাবে যাবেন?
- শিয়ালদা থেকে ট্রেনে করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে কিংবা নিউ মালবাজার স্টেশনে নেমে মাঝগ্রাম অনায়াসেই যাওয়া যায়। নিউ জলপাইগুড়ি হোক বা মালবাজার যো কোনও জায়গা থেকে মাঝগ্রামের দূরত্ব 35 কিলোমিটার। শুধু তাই নয়, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাজোলডোবা ক্যানেল রোড ধরেও চলে যাওয়া যায় চাবাড়িতে। অন্যদিকে, বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সড়ক পথে দেড় ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যাবে মাঝগ্রামে।
থাকার খরচ-
- এক একটি ডিলাক্স রুমের ভাড়া 3000 টাকা। সঙ্গে ব্রেকফাস্ট কমপ্লিমেন্টারিও দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ফোর বেডরুমের ভাড়া 4000 টাকা। তাতেও ব্রেকফাস্ট কমপ্লিমেন্টারি থাকছে। একটি বড় হল রয়েছে যেখানে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যাবে ৷
চাবাড়ি কেমন তা শুনুন পর্যটকদের মুখেই- চিকিৎসক রণব্রত সেন, চিকিৎসক সাধন চন্দ্র সেন জানান, কোলাহল মুক্ত পরিবেশ থাকার মজাটাই আলাদা। এখানকার মানুষের ব্যবহার আর আতিথেয়তা খুব ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে ডুয়ার্সের পর্যটনে নতুন পালক মাঝগ্রাম চাবাড়ি এটা বলাই যায়।
চাবাড়ির কর্ণধার অনিকেত মোদক জানান, ডুয়ার্সের পর্যটনে মাঝগ্রাম চাবাড়ি এখন আর্কষণীয় কেন্দ্রবিন্দু। তার কারণ কোলাহল মুক্ত জায়গা। চা-বাগানের মাঝে এই বাড়িটির চারপাশে শুধুই সবুজ আর সবুজ। ব্যালকনি থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন পর্যটকরা। পাশাপাশি নিউ জলপাইগুড়ি বা মালবাজার থেকে মাত্র 35 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাঝগ্রাম। যাঁরা বাইরে কাজে যেতেন তাঁদের কর্মসংস্থান এখানে হচ্ছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিশা দেখাচ্ছে মাঝগ্রাম চাবাড়ি।