গোপালগঞ্জ, 3 ডিসেম্বর: এক চৌকিদারকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সেই রক্তে কালীমন্দিরে পুজো দেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গোপালগঞ্জের বৈকুণ্ঠপুর থানা এলাকার সোনবলিয়া বাঁধের কাছে ৷
একটি বিয়েবাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন ওই চৌকিদার শমীন্দ্র রায় ৷ তাঁর দেহ পাওয়া যায় বাঁধের 50 গজ দূরে ৷ অন্যদিকে এই বাঁধের উল্টো দিকে অবস্থিত কালী মন্দিরে রক্ত দেখতে পাওয়া গিয়েছে ৷ ওই রক্ত চৌকিদারের শমীন্দ্র রায়ের বলেই অনুমান পুলিশের ৷ তাই এই ঘটনায় নরবলির যোগ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ ৷
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ৷ চৌকিদারের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ মৃত শমীন্দ্র রায় বৈকুণ্ঠপুর থানা এলাকার বঙ্গরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ৷ তিনি বৈকুণ্ঠপুর থানা এলাকায় চৌকিদার পদে কর্মরত ছিলেন ৷ সোমবার রাতে তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন ৷
মনে করা হচ্ছে, তিনি যখন বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে ফিরছিলেন তখনই অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তাঁকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ৷ এদিকে অনেক রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন দুশ্চিন্তা করতে থাকে ৷ তাঁরা কাছাকাছি খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন ৷ তখনই সোনবলিয়া বাঁধের 50 গজ দূরত্বের মধ্যে চৌকিদার শমীন্দ্রর দেহ দেখতে পাওয়া যায় ৷ এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ৷
মৃতের ভাই জানান, বাঁধের উল্টো দিকে অবস্থিত কালীমন্দিরে রক্ত পাওয়া যায় ৷ এতেই দু'য়ে দু'য়ে চার করছেন পরিবারের লোকজন ৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, শমীন্দ্রকে হত্যা করে তাঁর রক্তে কালীমন্দিরে পুজো করা হয়েছে ৷ মদ পাচারকারীদের হাতে তিনি খুন হয়েছেন বলে আশঙ্কা পরিবারের ৷
এসপি অবধেশ দীক্ষিত পুলিশের দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ৷ তিনি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন ৷ তিনি বলেন, "স্থানীয় থানায় খবর পৌঁছতেই আমরা ঘটনাস্থলে চলে যাই ৷ বিভিন্ন পয়েন্টে তদন্ত হচ্ছে ৷ প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ৷"